পোস্টগুলি

কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র বলা হয় কেন ? - #অজিত মাহাত

ছবি
কুরুক্ষেত্রই ধর্মক্ষেত্র - Spiritual Ajit সরস্বতী ও দৃষদ্বতী নদীর মধ্যবর্তী প্রদেশ । স্বায়ম্ভূব-মনুর সময়ে এরই নাম ব্রহ্মাবর্ত । পরে নাম হয় সমন্তপঞ্চক । পরশুরাম একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করে এখানে পিতৃতর্পণ করেছিলেন । সন্ন্যাস গ্রহণ করে কুরু এখানে তপস্যা করে স্থানটি পবিত্র ধর্মক্ষেত্রে পরিণত করেন । কুরুর যজ্ঞকালে সরস্বতী নদী , ওঘবতী নদী - রূপে এসে এই জমি ভিজিয়ে দিয়ে যান । যজ্ঞের পর এখানে হাল চালনা করে কুরু বরলাভ করেন যে , এখানে যাঁরা প্রাণত্যাগ করবেন তাঁরা স্বর্গে যাবেন । কুরু এখানে সব সময়েই হাল চালনা করতেন । কৌতূহলী ইন্দ্র মানুষের স্বর্গলাভের এই সহজ-পন্থা রোধ করার জন্য কুরুর কাছে এসে হাল চালনা করতে বারণ করলে উভয়ের মধ্যে শর্ত হয় , এখানে উপবাস করে কিংবা যুদ্ধ করে মারা গেলে মানুষ এমনকি পশুরাও স্বর্গে যাবে । কুরুক্ষেত্রে ইক্ষুমতী নদীতীরে তক্ষক বাস করতেন । কুরুক্ষেত্রে শান্তনুর পুত্র চিত্রাঙ্গদ নিহত হন । দৈত্যপতি সুন্দ ও উপসুন্দ কুরুক্ষেত্রে বাস করতেন । প্রাচীনতম রাজা মান্ধাতা এই কুরুক্ষেত্রেই পূণ্যযজ্ঞ করেছিলেন । জীবনে কখনও ক্রুদ্ধ হননি এমন মহান মুদগল মুণিরও বসতি ছিল এই কু

মহাভারতের বিরাট পর্ব্বে পঞ্চ-পাণ্ডবের ও দ্রৌপদীর অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের নাম কি ছিল ? - #অজিত মাহাত

ছবি
পঞ্চ-পান্ডবদের অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের ছদ্মনাম - Spiritual Ajit মহাভারতের বিরাট পর্ব্বে পঞ্চ-পাণ্ডবের ও দ্রৌপদীর অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁরা প্রকাশ্যভাবে নিজের নিজের একটা করে নাম রেখেছিলেন । সেগুলি হল , যথাক্রমে - যুধিষ্ঠির - কঙ্ক ভীম - বল্লব অর্জুন - বৃহন্নলা নকুল - গ্রন্থিক সহদেব - তন্তিপাল দ্রৌপদী - সৈরন্ধ্রী যুধিষ্ঠির নিজেদের মধ্যে আহ্বান বা সম্বোধনের জন্য তাঁদের প্রত্যেকের একটি করে গুপ্ত নাম রেখেছিলেন । সেগুলি হল , যথাক্রমে - যুধিষ্ঠির - জয় ভীম - জয়ন্ত অর্জুন - বিজয় নকুল - জয়ৎসেন সহদেব - জয়দ্বল দ্রৌপদী - মালিনী পঞ্চ-পাণ্ডব ও দ্রৌপদী এক বৎসর অজ্ঞাত বাসের সময় এই ছদ্মনাম ও গুপ্তনামগুলি নিজেদের পরিচয়ের জন্য ব্যবহার করেছিলেন ।  পঞ্চ-পান্ডবদের অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের গুপ্তনাম - Spiritual Ajit

যুধিষ্ঠির ও যক্ষের কতকগুলি প্রশ্নোত্তর জেনে নিন । - #অজিত মাহাত

ছবি
যুধিষ্ঠির ও যক্ষের প্রশ্নোত্তর যক্ষরূপী ধর্মের প্রথম প্রশ্ন - কিবা বার্তা ? অর্থাৎ কথার মতো কথা কি ? যুধিষ্ঠিরের উত্তর - কালরূপ কর্তা সূর্যরূপ আগুনে দিন - রাত্রি স্বরূপ কাঠ জ্বালিয়ে মহামহোরূপ সংসারের কড়াইয়ে ঋতু ও মাস স্বরূপ হাতা দিয়ে ঘেঁটে ঘেঁটে প্রাণীগনকে পাক করছে , এটাই প্রকৃত কথা । দ্বিতীয় প্রশ্ন - সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য কি ? উত্তর - প্রতিদিনই চোখের সামনে জীবজন্তুর মৃত্যু হচ্ছে , তবুও যারা অবশিষ্ট থাকে , অর্থাৎ বেঁচে আছে , তারা মনে করে যে , তারা আর মরবে না । - এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের ।  যুধিষ্ঠির ও যক্ষের প্রশ্নোত্তর তৃতীয় প্রশ্ন - প্রকৃত পথ কি ? উত্তর - তর্কের স্থিরতা নেই , বেদ-সকল ও স্মৃতিসমূহ ভিন্ন ভিন্ন মত অবলম্বন করে । বিভিন্ন মুনি বিভিন্ন রকমের মত পোষণ করেন । তবে একথা সত্য যে , ধর্মের প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞানরূপ গুহাতেই নিহিত থাকে , সুতরাং মহাজন ( অর্থাৎ অধিকাংশ সাধু ব্যক্তি ) যে পথে গমন করেন , সেই পথই প্রকৃত পথ । চতুর্থ প্রশ্ন - সর্বাপেক্ষা সুখী কে ? উত্তর - যে ব্যক্তি আপন গৃহে বাস করে ( প্রবাসী বা পরবাসী নয় ) , এবং যে ঋণ করে না ( অর্থাৎ অপরের কাছে ধ

একজন লোক দ্বিতীয় আর একজনকে খুন করলে , যে খুনি সে কি তাঁর পূর্বজন্মের শত্রুতার শোধ নিল , নাকি যে মরল সে আগের জন্মের দুষ্কর্মের ফল পেল । এতে হত্যাকারীর কী দোষ ? - #অজিত মাহাত

ছবি
প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit হত্যাকারীর দোষ আছে । দন্ড দেওয়া হল শাসকের কাজ , সর্বসাধারণের নয় । একজন লোকের দশটার সময় ফাঁসি হবার কথা । অন্য একজন লোক সেই ফাঁসির দন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত লোকটিকে জল্লাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঠিক দশটার সময় তাঁকে হত্যা করে বসল । এই পরিস্থিতিতে সেই হত্যাকারী লোকটিরও ফাঁসি হবে এই কারণে যে এই হুকুম অর্থাৎ মারবার ক্ষমতা তো রাজা বা সরকার জল্লাদকে দিয়েছিল , সেই হত্যাকারীকে কে হুকুম দিয়েছিল ? প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit যে মারল তাঁর স্মরণে ছিল না যে সে পূর্বজন্মের শোধ নিচ্ছে , তা সত্বেও সে মারল , এটা তাঁর দোষ । অন্য কাউকে মারবার অধিকার কারুরই নেই । মরতে কেউই চায় না । অন্যকে মারা মানে নিজের বিবেকের প্রতি অনাদর । মানুষমাত্রেরই আছে বিবেকশক্তি , সেই বিবেক অনুসারে ভালো বা মন্দ কাজ করার ব্যাপারে সে স্বাধীন ।  অতএব বিবেকের অনাদর করে অন্যকে মারা বা মারবার ইচ্ছা করা অন্যায় ।  প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit যদি পূর্বজন্মের শোধ বা বদলা একে অপরের নিতে থাকে তা হলে এই শোধ - বোধের শৃঙ্খল কখনই শেষ হবে না আর মানুষ কোনদিন

একজনের হাত থেকে গেলাস পড়ে ভেঙ্গে গেল , এটা তাঁর অসাবধানতা নাকি তাঁর প্রারব্ধ ? - #অজিত মাহাত

ছবি
যেটা অসাবধানতায় ঘটে গিয়েছে সেটা প্রারব্ধ আর যেটা ঘটিয়েছেন সেটা নতুন কর্ম - Spiritual Ajit কর্ম করার সময় সাবধান থাকা উচিত কিন্তু ভালো বা মন্দ যাই ঘটে যাক , তাকে পুরোপুরি প্রারব্ধ বলে বাধ্য হয়েই মেনে নেওয়া উচিত । তাতে যাঁরা এ কথা বলেন যে যদি তুমি একটু সাবধান হতে তা হলে গেলাসটা ভাঙত না - তাতে এইটুকু শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমার আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার , যাতে দ্বিতীয়বার এমন ভুল না হয় । বাস্তবে যা ঘটে গিয়েছে , তাকে অসাবধানতা বলে না মনে করে ঘটবারই ছিল , এই মনে করা উচিত । সেইজন্য 'করাতে' থাকবে সাবধান , আর 'হওয়াতে' থাকবে প্রসন্ন । তাই অসাবধানতার কারণে গেলাস পড়ে ভেঙ্গে গেল , - এটা তাঁর প্রারব্ধ । আবার কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গেলাসটি ভেঙ্গে দেয় , - সেটা হবে তাঁর নতুন কর্ম ।  যেটা অসাবধানতায় ঘটে গিয়েছে সেটা প্রারব্ধ আর যেটা ঘটিয়েছেন সেটা নতুন কর্ম - Spiritual Ajit

প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - #অজিত মাহাত

ছবি
প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit এই জীব যা কিছু লাভ করছে , তা প্রারব্ধ অনুসারেই সে পাচ্ছে কিন্তু প্রারব্ধ বিধানের বিধাতা হলেন স্বয়ং ভগবান । তার কারণ হল , কর্ম জড় হওয়ার দরুন নিজে স্বাধীনভাবে কোন ফল দিতে পারে না । সেগুলি তো ভগবানের বিধান বা নির্দেশ অনুসারেই ফল দিয়ে থাকে । যেমন , একজন লোক সারাদিন ধরে যদি কারুর ক্ষেতে কাজ করে তো সন্ধ্যার সময় তার কাজের অনুরূপ পয়সা বা মজুরী পেয়ে থাকে , কিন্তু সেই মজুরী সে পায় ক্ষেতের মালিকের কাছ থেকে । পয়সা তো মেলে কাজ করলে তবেই , বিনা কাজে কি পয়সা মিলতে পারে ? পয়সা তো কাজ করলে তবেই পাওয়া যায় কিন্তু মালিক ছাড়া পয়সা দেবেটা কে ? যদি কেউ জঙ্গলে গিয়ে দিনভোর মেহনত বা পরিশ্রম করে তো তার কি পয়সা মিলবে ? কখনই মিলবে না । সেখানে দেখা হবে কার কথায় , হুকুমে বা নির্দেশে সে কাজ করেছে এবং কার উপর এর দায়িত্ব ছিল ।  প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit যদি কোন চাকর - বাকর বা মজুর খুব তৎপরতার সঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে পরম উৎসাহের সঙ্গে কোন কাজ করে শুধু মালিককে খুশি করার জন্য , তাঁর প্রসন্নতা লাভের জন্য

আকস্মিক মৃত্যু এবং অকাল মৃত্যুতে পার্থক্য কী ? - #অজিত মাহাত

ছবি
হঠাৎ জলে ডুবে মৃত্যু - আকস্মিক মৃত্যু - Spiritual Ajit কেউ যদি সাপে কামড়ালে মারা যান , আকস্মিকভাবে উপর থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান , জলে ডুবে মারা যান , হার্টফেল হয়ে মারা যান কিংবা কোন দুর্ঘটনায় মারা যান তখন তাকে 'আকস্মিক মৃত্যু' বলা হয় । স্বাভাবিক মৃত্যুর মতোই আকস্মিক মৃত্যুও প্রারব্ধ অনুসারে আয়ু পূর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলেই ঘটে থাকে । হার্টফেল হয়ে মৃত্যু - আকস্মিক মৃত্যু - Spiritual Ajit কোন লোক যদি জেনেশুনে আত্মহত্যা করে বসেন অর্থাৎ   গলায় ফাঁস লাগিয়ে , কুয়োয় লাফ দিয়ে , গাড়ির তলায় পড়ে , ছাদ থেকে লাফিয়ে , বিষ খেয়ে বা শরীরে আগুন লাগিয়ে মারা যান , তা হলে তাঁর সে মৃত্যু 'অকাল মৃত্যু' বলে পরিগণিত হবে , কারণ সে মৃত্যু আয়ু থাকতে থাকতেই ঘটে থাকে । আত্মহত্যাকারীর মনুষ্য - হত্যার পাপ লেগে যায় এবং সেই কারণে এ হল নতুন পাপ - কর্ম , প্রারব্ধ নয় । এই মানবদেহ পরমাত্মপ্রাপ্তি বা ভগবানকে লাভ করার জন্যই মিলেছে , অতএব আত্মহত্যা করে তাঁকে নষ্ট করা মহাপাপ । শরীরে আগুন লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত মৃত্যু - অকাল মৃত্যু - Spiritual Ajit কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা