পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আপনি কারো কোনো উপকার করে থাকলে , সেটা ভুলে যাওয়ায় আপনার কর্তব্য । - #অজিত মাহাত

ছবি
অহংকারী দুর্যোধন - Spiritual Ajit আপনার দ্বারা কোনো মানুষের যদি কিছু উপকার বা সেবা হয়ে যায় তাহলে এই অহংকার যেন করবেন না যে আপনি তাঁর উপকার করেছেন । এইটি নিশ্চিত জানবেন যে আপনার দ্বারা তাঁর যে উপকার হয়েছে সেটা তাঁর কোনো শুভকর্মের ফল । আপনি তো তাঁর জন্য কেবল নিমিত্ত হয়েছেন । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিন যে তিনি কাউকে সুখ প্রদানের জন্য আপনাকে নিমিত্ত করেছেন আর আপনার উপকার যে স্বীকার করেছেন সেই মানুষটি আপনার উপকার করেছেন বলে মনে করবেন । তিনি যদি আপনার উপকার মান্য করে অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ   করে তাহলে মনে মনে সংকুচিত হন এবং ভগবানকে বলুন , হে ভগবান ! আপনার কাজে আমার মিথ্যা প্রশংসা  কেন হচ্ছে ? আর তাঁকে নম্রতার সঙ্গে বলুন , ভাই ! আপনি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হন । তিনি আপনার জন্য এই বিধান সৃষ্টি করেছেন , আপনি বার বার সৎ কাজ করতে থাকুন যাতে বার বার আপনি সুখ লাভ করতে পারেন । আমি তো কেবল নিমিত্ত , আমার প্রশংসা করে আমাকে অহংকারী করে দিবেন না । আমি আপনার উপকার করেছি এই রকম কৃতজ্ঞতা তাঁর উপর চাপিয়ে দিবেন না । তা করলে তাঁর উপর ভারী বোঝা পড়বে । তিনি দুঃখিত হবেন , পরবর্তী সময়ে আপনার উপকার গ্রহনে তা

দুঃখের মূল কিভাবে ছিন্ন করবেন ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
দানবীর কর্ণ - Spiritual Ajit ' বাড়িটি আমার ' , ইঁটের প্রত্যেকটি কোণে ' আমিত্ব ' ভরে রয়েছে । সেটিকে বেচে দিলে , বিক্রিত দলিল হাতে এল । এর পর বাড়িতে আগুন লাগল । আমি বলতে শুরু করলাম , যাক ' ভালোই হয়েছে ' , টাকা তো হাতে এসে গিয়েছে । ' আমিত্ব ' চলে যেতেই বাড়ি পুড়ে যাওয়ার দুঃখ দূর হল । এখন দলিলের কাগজে আমিত্ব রয়েছে । খুব বড় বাড়ি থেকে সমস্ত ' আমিত্ব ' চলে গিয়ে সামান্য কাগজের টুকরোতে এসে গিয়েছে । এখন দলিলের দিকে কেউ দৃষ্টিপাত করে না । দলিল বিক্রি করলাম , হাতে টাকা এল । এরপর দলিলের কাগজ ছিঁড়ে যাক , পুড়ে যাক , কোনো চিন্তা নেই । সমস্ত ক্ষমতা এখন টাকার থলিতে এসেছে । এখন তাকেই সামলাতে হচ্ছে । এরপর টাকা কোন মহাজনকে দেওয়া হল , এবার তার কাছ থেকে যদি টাকা চুরি যায় তাতে কোনো পরোয়া নেই । তার খাতায় নিজের টাকা জমা থাকা এবং চিন্তা এইটুকু যে , সেই মহাজনের ফার্ম যাতে টিকে থাকে , দেউলিয়া হয়ে না যায় । এইভাবে মমতা যার প্রতি থাকে তার সম্পর্কেই চিন্তা হয় । এই মমতাই হল দুঃখের মূল । বাস্তবে ' আমার ' কোনো বস্তু নয় । যদি আমার হত তাহলে সঙ্গ

মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - Spiritual Ajit মনের মধ্যে জগৎ এবং জগতের বিষয়সমূহ ভরে আছে । এই জড় জাগতিক বিষয়সমূহই হল ভ্রান্তি জ্ঞান । মন থেকে জগৎকে বার করবার চেষ্টা না করে ভগবানকে মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে আরম্ভ করুন । তাহলে জগৎ নিজ মন থেকে নিজেই চলে যাবে । মনে করুন মাটির মধ্যে একটি পাত্র পোঁতা আছে এবং সেই পাত্রের মুখটি মাটির উপরে খোলা অবস্থায় আছে । সেই পাত্রে জল ভর্তি আছে । পাত্রটি মাটি থেকে না খুঁড়ে , বা পাত্রটি না উল্টে কিভাবে আপনি ঐ পাত্রের জল বের করবেন ? পাথর জল থেকে ভারী , সেই পাত্রে পাথর ঢালতে থাকুন । পাথর যতটা জায়গা নেবে সেই পরিমাণ জল বাইরে বেরিয়ে আসবে । পাত্রটি পাথর দিয়ে ভরে দিন , তাহলে সব জল বেরিয়ে যাবে । এইভাবে , ভগবান যেমন যেমন স্থান আমাদের হৃদয়ে দখল করবেন ততটাই তা জড় জাগতিক বিষয় বা ভ্রান্তি জ্ঞান খালি হয়ে যাবে । ভগবানের দ্বারা হৃদয় পরিপূর্ণ হলে জড় জাগতিক বিষয় জ্ঞান সবটাই বাইরে বেরিয়ে আসবে । অন্ধকারকে দূর করতে চেষ্টা করবেন না , আলো নিয়ে আসুন , অন্ধকার নিজে থেকেই সরে যাবে । সেই জন্য মনের মধ্যে ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠিত করুন । মনে ঈশ্বর প্রতি

মহাভারত গ্রন্থের নামের তাৎপর্য কি ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারত - Spiritual Ajit দুষ্মন্ত রাজার ঔরসে ও শকুন্তলার গর্ভে সর্ব-দমন ভরতের জন্ম । কুরুপান্ডবেরা এবং তাঁদের পূর্বপুরুষেরা এই ভরতেরই উত্তরপুরুষ । এই সকল মহাপুরুষের চরিত্র অবলম্বনে মহর্ষি বেদব্যাস রচিত ইতিহাস বা মহাকাব্যের নাম তাই 'ভারত' । দেবতারা ও ঋষিরা এই গ্রন্থের মহত্ব ও গুরুত্ব উপলব্ধি করবার উদ্দেশ্যে দাঁড়িপাল্লাতে একদিকে চারখানি বেদ ও উপনিষদ রেখেছিলেন এবং অপরদিকে 'ভারত' রেখে ওজন করে দেখলেন যে , ভারে ও মহত্বে 'ভারত' -ই মহান ( অধিক গুরুতর ) । তখন থেকেই 'ভারত' গ্রন্থ সকল জ্ঞান ও সৌন্দর্যের আকররূপে 'শ্রীমহাভারত' আখ্যায় ভূষিত হলো । যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit যুধিষ্ঠিরকে যদি ধর্মময় মহাবৃক্ষরূপে ধরা যায় , তাহলে এই বৃক্ষের কাণ্ড হলেন ধনঞ্জয় , শাখা হলেন ভীম । নকুল এই বৃক্ষের পুষ্প ও সহদেব ফল । পরমব্রহ্ম শ্রী কৃষ্ণ এবং ব্রহ্মস্বরূপ ব্রাহ্মনগন সেই মহাবৃক্ষের মূল । দুর্যোধন - Spiritual Ajit মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের বিপরীত তথা পাপময় চরিত্র দুর্যোধন । ক্রোধই এই পাপাত্মার সকল দুর্ভাগ্যময় পরিণতির কেন্দ্র । সুতরাং ক্রোধময় মহাবৃক্

ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহাদেব - এনাদের মধ্যে কে সবথেকে বড় ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহাদেব - Spiritual Ajit সত্যযুগে শ্বেতদ্বীপে  বিষ্ণু অনন্ত সুখ লাভের জন্য এবং ব্রহ্মা সমস্ত বাসনা জয় করার জন্য দীর্ঘ তপস্যা  করছিলেন । এই সময়েই তাঁদের একবার সাক্ষাৎকার ঘটে । দুজনের মধ্যে কে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মতান্তর হওয়ায় লিঙ্গ দেহ ধারণ করে শিব তাঁদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর আদি ও অন্তের সন্ধান করতে বলেন । তাঁর লিঙ্গদেহের আদি উৎস ( নিম্ন ) সন্ধানে বিষ্ণুকে এবং অন্ত ( ঊর্ধ্ব ) ভাগ সন্ধানে ব্রহ্মাকে আদেশ করেন । এবং বলেন যে , যে সর্বপ্রথম তাঁর দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন তিনিই সবথেকে বড় । বিষ্ণু ও ব্রহ্মা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিবের আদি ও অন্তের সীমানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না । এমন সময় ব্রহ্মা শিবের লিঙ্গদেহের ঊর্ধ্ব দিকে যেতে যেতে লক্ষী-অংশে জাতা দক্ষদুহিতা কেতকী ( পুষ্প ) - কে পান এবং আর না উঠে ঐ ফুলটিকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে এসে জানান যে , তিনি শিবের মাথা থেকে এটিকে নিয়ে এসেছেন । কেতকী , ব্রহ্মার এই মিথ্যাকে সমর্থন করলে শিব রুষ্ট হন এবং কেতকীকে শাপ দেন যে , কোন পূজায় কেতকী ফুল ব্যবহৃতা হবেন না । দেবপূজায় না ব্যবহৃতা হলেও লোকপূজিতা হবার

শ্রী কৃষ্ণের পায়ের তলাই কি ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য দুর্বল জায়গা ! - #অজিত মাহাত

ছবি
পায়ের তলায় তীরবিদ্ধ শ্রী কৃষ্ণ - Spiritual Ajit শ্রী কৃষ্ণের চরণে তীরবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের দ্বারা , শ্রী কৃষ্ণ ঋষি দুর্বাসার বাক্যকে সার্থক করলেন । একবার ঋষি দুর্বাসা শ্রী কৃষ্ণের সামনে উত্তপ্ত পায়েস খেতে খেতে কৃষ্ণকে সারা গায়ে সেই উচ্ছিষ্ট পায়েস মাখতে বলেন । কৃষ্ণ নিজের সারা গায়ে তা' মাখেন , কিন্তু ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ট বলে পায়ের তলায় মাখেন না । দুর্বাসা তখন রুক্মিণীর গায়ে পায়েস মাখিয়ে দিয়ে তাঁকে রথে জুড়ে নিয়ে নিজে সেই রথে চড়ে রুক্মিণীকে চাবুক মারতে থাকেন । রুক্মিণী ব্রাহ্মণের প্রতি অশেষ ভক্তির জোরে রথ টেনে চলেন । দুর্বাসা এই দম্পতির কোন দোষ খুঁজে পান না এবং তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হন । এই ঘটনাতে কৃষ্ণ ক্রোধ জয় করতে পেরেছিলেন বলে দুর্বাসা তাঁকে ক্রোধজিৎ বলে প্রশংসা করেন এবং বর দেন যে , তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সকলের প্রিয় হবেন । দুর্বাসার বরে সারা গায়ে পায়েস মাখার জন্য এঁদের দেহে কোনদিন জরা আসেনি এবং সারা গা অভেদ্য হয়ে থাকে ; কেবল পায়ের তলার বাদ থাকার জন্য পায়ের তলাতেই বাণবিদ্ধ হবার সম্ভাবনা থেকে যায় । শ্রী কৃষ্ণ নিজের সেই লাল টুকটুকে পা-দু'খানি জীরু ব্য

কুন্তীর কারণে সমস্ত নারীকুলকে শাপ দিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির । - #অজিত মাহাত

ছবি
কুমারী কুন্তীর পুত্র লাভ - Spiritual Ajit কর্ণের মৃত্যুর পর , কুন্তী যুধিষ্ঠিরের কাছে কর্ণের জন্মপরিচয় স্বীকার করলেন । যুধিষ্ঠির বুঝতে পারলেন যে , এই বিরাট যুদ্ধ ও লোকক্ষয়ের মূলে মাতা কুন্তীর সত্যগোপনের ইচ্ছাই দায়ী । কারণ কর্ণ তাঁদের বড় ভাই , এ কথা জানলে তাঁরা সিংহাসনের জন্য এ যুদ্ধ করতেন না ; বরং কর্ণকেই রাজা করে তাঁর সেবা করতেন । বলা বাহুল্য , কর্ণকে রাজত্ব দিতে দুর্যোধনও অরাজী হতেন না । এই জন্য কর্ণের মৃত্যু শোকে , যুধিষ্ঠির সমস্ত নারীকুলকে এই অভিশাপ দেন যে , - ভবিষ্যতে নারীদের হৃদয়ে এইভাবে আর কোন কথা গোপন থাকবে না ; এমন কি অতি সাংঘাতিক গুপ্ত কথাও তাঁরা প্রকাশ করতে বাধ্য হবেন ।  এই জন্য যুধিষ্ঠিরের অভিশাপে , নারীগনের কাছ থেকে অতি গোপন কথাও কোন না কোনদিন প্রকাশ হয়েই থাকে ।  যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit

মানুষের প্রধান চিত্তবৃত্তি বা মনোবৃত্তিগুলি কি কি ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মানুষের প্রধান মনোবৃত্তিগুলি - Spiritual Ajit মানুষের চিত্তবৃত্তি বা মনোবৃত্তিগুলি অসংখ্য হইলেও সেগুলিকে পাঁচ প্রকার অবস্থায় বিভক্ত করা যায় । চিত্তের সেই পাঁচ প্রকার অবস্থাগুলি হল - ১/ ক্ষিপ্ত - মনের অস্থির ও চঞ্চল অবস্থার নাম ক্ষিপ্ত অবস্থা । এই অবস্থায় মন কেবল এটা ওটা সেটা লইয়াই ব্যাস্ত , স্থির হয় না । এটাই ক্ষিপ্ত অবস্থার স্বভাব । ২/ মূঢ় - যখন মন , কাম , ক্রোধ , নিদ্রা , আলস্য প্রভৃতি দ্বারা অভিভূত হইয়া কর্ত্তব্য জ্ঞানশূন্য হয় , তখনই মনের মূঢ় অবস্থা । ৩/ বিক্ষিপ্ত - মন কোন একটা সুখের বিষয় পাইলে তাহাতে আকৃষ্ট হয় এবং কিছুক্ষণ তাহা অবলম্বন করিয়া একটু স্থির হয় । কিন্তু স্বভাব - দোষে তখনই অস্থির ও চঞ্চল হয় । এই ক্ষণবিরাম বিশিষ্ট চঞ্চল অবস্থার নামই বিক্ষিপ্ত অবস্থা । ৪/ একাগ্র - মন যখন অন্তরে কিংবা বাহ্যে কোন একটা লক্ষ্য অবলম্বন করিয়া , কেবল সেই লক্ষ্যে স্থির হইয়া তাহারই স্বরূপ প্রকাশ করিতে থাকে , অন্য কিছুই অবলম্বন করে না , তখনই মনের একাগ্র অবস্থা । ৫/ নিরুদ্ধ - মন যখন ঐরূপ একাগ্র হইয়া নিজেকেও ভূলিয়া যায় , কোন বৃত্তি বা ক্রিয়াই থাকে না , অবলম্বনও থা

ভাগ্য আসলে কি ? সেটা কি পাল্টানো সম্ভব ? - #অজিত মাহাত

ছবি
দ্রৌপদীর ভাগ্য - Spiritual Ajit ভাগ্য কারো কৃপায় বা দয়ায় পাওয়া যায় না । ভাগ্য নিজেকেই তৈরী করতে হয় । কর্মের দ্বারাই মানুষ ভাগ্য তৈরী করতে পারে । ভাগ্য আসলে সঞ্চিত কর্মের ফল । ভাগ্য দুই প্রকারে পাওয়া যায় ; জন্মগত ভাগ্য ও কর্মগত ভাগ্য । গত জন্মের কর্মের ফলে মানুষ যে ভাগ্য পায় , তা হল জন্মগত ভাগ্য , আর এই জন্মের কর্মের ফলে মানুষ যে ভাগ্য পায় তা হল কর্মগত ভাগ্য । প্রত্যেক মানুষকেই তাঁর কর্মের ফল ভোগ করতে হয় । এমনকি দেব - দেবী বা কোন অবতার পুরুষকেও তাঁর কর্মের ফল ভোগ করতে হয় । যদি এই জন্মে কোন কারণ বশত কারো কর্মের ফল ভোগ না হয়ে থাকে , তবে তা পরজন্মে ভাগ্য হয়ে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হবে । যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর কর্মফল ভোগ হয় তিনি কর্মফলের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবেন না । কেউ খারাপ ভাগ্য নিয়ে জন্ম নিলেও , এই জন্মে তিনি যদি ভালো কাজ করেন , তো তাঁর ভাগ্য ভালো হয়ে যাবে । আবার কেউ ভালো ভাগ্য নিয়ে জন্ম নিলেও , এই জন্মে তিনি যদি খারাপ কাজ করেন , তো তাঁর ভাগ্য খারাপ হয়ে যাবে । কর্মের ফলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে । ঈশ্বরের কৃপা লাভের ফলেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে

যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলার সময় শ্রী কৃষ্ণ কেন পান্ডবদের সাহায্য করেনি ? - #অজিত মাহাত

ছবি
যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা - Spiritual Ajit  মহাভারতের লীলার অন্তিম সময়ে শ্রী কৃষ্ণের বাল্যকালের বন্ধু তথা ভক্ত উদ্ভব শ্রী কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন যে , তিনি পান্ডবদের আত্মীয় তথা বন্ধু হয়েও , পাশা খেলার সময় তিনি কেন যুধিষ্ঠিরকে সাহায্য করেনি ; তিনি যদি চাইতেন তো পাশা খেলার পরিণতি অন্যরকম হতো বা দ্রৌপদীর পরিস্থিতিও অন্য হতো । শ্রী কৃষ্ণ উদ্ভব কে বলেন যে , হার বা জিত পরিস্থতিতে বিবেকের উপর নির্ভর করে । পরিস্থিতি আসে ভাগ্যের দ্বারা , কিন্তু পরিস্থিতিতে কি নির্ণয় নেওয়া হবে সেটা ভাগ্য নির্ধারণ করে না । ঐ সময় দুর্যোধনের ধণ - সম্মত্তির অভাব ছিল না , কিন্তু তিনি পাশা খেলতে জানতেন না ; তাই তিনি তাঁর হয়ে শকুনিকে খেলতে বলেন । সেই সময় দুর্যোধনের অশুভ হলেও নির্ণয়টা বিবেকপূর্ণ বা সঠিক ছিল । কিন্তু যুধিষ্ঠির কি তাঁর হয়ে পাশা খেলতে আমাকে বলতে পারত না ! যদি খেলাটা শকুনির সাথে আমার হতো তাহলে পরিণতি কি অন্য হতো না । আমিও তো যুধিষ্ঠিরের পিসতুতো ভাই । কিন্তু যুধিষ্ঠির বিবেকহীন হয়ে , বাধ্য হয়ে হোক বা কারো ছলনাতে হোক , আমাকে ঐ সভায় না আসার জন্য বলেন । আমি যুধিষ্ঠিরের বচনের বন্ধনে বাঁধা ছিলাম ; কিন্ত

আধ্যাত্মিকতা কাকে বলে ? - #অজিত মাহাত

ছবি
আধ্যাত্মিকতা - Spiritual Ajit মানুষ জন্মের সময় নিজেকে সামান্য ভাবে না , ক্ষুদ্র শরীরে নিজেকে আবদ্ধ মনে করে না । যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষ সংসারের মায়ায় জড়িয়ে ভ্রান্তি জ্ঞানে নিজের আসল সত্ত্বা হারিয়ে ফেলছেন , ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ নিজেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড রুপে উপলব্ধি করেন । যতই মানুষ পঞ্চইন্দ্রীয় দ্বারা গৃহীত মিথ্যা জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে থাকে ততই মানুষ নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করতে থাকেন । মানুষ যখন বড় হয় , সামাজিক জ্ঞানে জ্ঞানী হয় ; তখন মানুষ নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করে ঈশ্বরকে খুঁজতে থাকেন । মানুষ তখন বোঝেই না যে , তিনি নিজেই ঈশ্বর । ভ্রান্তি জ্ঞানের দ্বারা তিনি ঈশ্বরের থেকে আলাদা হয়েছে । ' ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ হওয়ার আকাঙ্খাই হল আধ্যাত্মিকতা ' । কিন্তু মানুষ অচেতন জ্ঞানে পরিচালিত হয়ে ভূল পথে চলে যায় । ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ভিন্ন ভিন্ন আকাঙ্ক্ষা জাগে । কেউ বেশী টাকার মালিক হতে চায় , কেউ বেশী জ্ঞানী হতে চায় , কেউ সবথেকে শক্তিশালী হতে চায় , কেউ সবার ভালোবাসা পেতে চায় , ইত্যাদি ইত্যাদি । বড় হবার আকাঙ্ক্ষা সবার মধ্যেই থাকে , কিন্তু পথ ভিন্ন ভিন্ন । মানুষ এই পার্

পুনর্জন্ম কি সত্যিই হয় ? - #অজিত মাহাত

ছবি
পুনর্জন্ম - Spiritual Ajit পুনর্জন্ম নিয়ে মানুষের কৌতুহল অনেকদিন ধরেই আছে । কিন্তু পুনর্জন্ম বিষয়ে যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া খুবই মুশকিল । যদি আপনি বিশ্বাসের সহিত সত্যিই এটা জানার চেষ্টা করেন , তো অবশ্যই জানতে পারবেন । জন্ম - মৃত্যুর সংজ্ঞা আমি আগের একটি প্রবন্ধে আলোচনা করেছি , সেটা অবশ্যই পড়বেন এবং আমি আবারও একবার সংক্ষেপে এটা বলছি । আসলে আমাদের জন্ম কিন্তু হয়ই না । এই শরীরটা পৃথিবীর বিভিন্ন উপাদান নিয়ে তৈরী , আবার আমাদের মনটাও হল , আমাদের চারপাশের তথ্যের সমষ্টি । আমার শরীর , আপনার শরীর আলাদা ; আমার মন , আপনার মন আলাদা ; কিন্তু আমার প্রাণ , আপনার প্রাণ আলাদা নয় । প্রত্যেক প্রাণের সমষ্টিই হল পরমাত্মা । ' স্থিতি থেকে খন্ড হওয়ার শুরুকেই জন্ম বলে ' । আবার ' স্থিতি থেকে খন্ড হওয়ার পর পুনরায় স্থিতি তে মিলিত হওয়াকে মৃত্যু বলে ' । আসলে মৃত্যু শরীরের হয় , শরীরটা কিন্তু আমি নই । আমি হলাম প্রাণ । তাই প্রাণ শরীরের জন্মের আগেও ছিল এবং শরীরের মৃত্যুর পরও থাকবে । সুতরাং প্রাণকে আমি রুপে উপলব্ধি করলে আপনি অমর , আপনার জন্ম - মৃত্যু নেই ; আবার মনকে আমি রুপে উপলব্ধি করল

শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ কি শুধুই গান্ধারীর অভিশাপ না কি তাঁর কর্মফল ! - #অজিত মাহাত

ছবি
শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ - Spiritual Ajit  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দূর্যোধন ও তাঁর শত ভাই সহ কৌরব বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় শোকার্ত গান্ধারী এই দুর্দশার জন্য শ্রী কৃষ্ণকে দায়ী করেন । তিনি মনে করেন যে শ্রী কৃষ্ণের কারণেই এই যুদ্ধ হয়েছে । শ্রী কৃষ্ণ যদি চাইত এই যুদ্ধ আটকাতে পারত , কিন্তু কৃষ্ণ তা করেনি । সেই জন্য শোকার্ত গান্ধারী ক্রোধে শ্রী কৃষ্ণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যেভাবে কৌরব বংশ ধ্বংস হয়েছে সেইভাবে যদু - বংশও ধ্বংস হবে ; এবং শ্রী কৃষ্ণ আর মাত্র ৩৬ বছর বাঁচবেন । শ্রী কৃষ্ণ গান্ধারীর এই অভিশাপকে আশীর্বাদ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ; কারণ তিনি জানতেন প্রত্যেককেই তাঁর কর্মফল ভোগ করতে হয় ।  শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ - Spiritual Ajit শ্রী কৃষ্ণের পুত্র শাম্ব একবার তাঁর বন্ধুদের সাথে কয়েকজন ঋষির সাথে ছলনা করার জন্য গর্ভবতী মহিলার বেশে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে মহিলাবেশী শাম্বের কি সন্তান হবে , পুত্র নাকি কন্যা । ঋষিরা তাঁদের ছলনা বুঝতে পেরে ক্রোধে অভিশাপ দেন যে শাম্বের গর্ভে একটি মুসল জন্ম হবে এবং সেই মুসলই যদু বংশের বিনাশের কারণ হবে । পরবর্তীতে শাম্বের একটি লোহার পিন্ড রুপ

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রী কৃষ্ণ কেন অর্জুনের থেকে কর্ণের প্রশংসা বেশী করত ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারত - কর্ণ - Spiritual Ajit মহাভারতের যুদ্ধ চলার সময় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের থেকে কর্ণের বেশি প্রশংসা করত । সেই জন্য অর্জুন , কর্ণের মৃত্যুর পর অহংকার বশত শ্রী কৃষ্ণকে বললেন ; হে কৃষ্ণ ! তুমি আমার মিত্র হয়েও বারবার কর্ণের ই প্রশংসা করছো ; তুমি আমার পক্ষে না কর্ণের । শ্রী কৃষ্ণ মধুর বাক্যে বললেন , অবশ্যই তোমার পক্ষে।  তাই যদি হয় , তাহলে কর্ণের এত প্রশংসা কেন ; যেখানে আমার তীরের আঘাতে কর্ণের রথ দশ পা পেছনে চলে যেত কিন্তু কর্ণের তীরের আঘাতে আমার রথ মাত্র দুই পা পেছনে আসত । আমার তীরে কর্ণের মৃত্যুর পরও কিভাবে বলছো কর্ণ একজন মহান যোদ্ধা । শ্রী কৃষ্ণ বললেন , তুমি তো জানো পার্থ , আমিই পরমাত্মা , এই ত্রিলোক এর ভার আমিই বহন করছি । যেখানে আমি স্বয়ং সম্পূর্ণ বিশ্বের ভার নিয়ে তোমার  রথেই উপস্থিত আছি , এবং মহাবীর হনুমানের পতাকা তোমার রথের উপর উড়ছে ; সেখানে একজন সাধারণ যোদ্ধার পক্ষে কি বিন্দুমাত্র এই রথ পেছানো সম্ভব ! নিঃসন্দেহে কর্ণ একজন মহান যোদ্ধা । কর্ণ যদি ধর্মের পথে থাকতো , তোমার পক্ষেও তাকে পরাজিত করা অসম্ভব হয়ে উঠত । অধর্ম পক্ষ নেওয়ায় কর্ণের পরাজয় ঘটেছে । শ্রেষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা কর

যোগ কাকে বলে ? What is Yoga ? - #অজিত মাহাত

ছবি
যোগ কাকে বলে ? - Spiritual Ajit যোগ কথার আক্ষরিক অর্থ হল কোনো কিছুর সাথে যুক্ত হওয়া । আধ্যাত্মিক মতে আত্মার সাথে পরমাত্মার যুক্ত হওয়ার পদ্ধতির নাম হল যোগ । মানুষ সাধারণত স্মৃতির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে । স্মৃতি হল অতীতের জ্ঞান ও অনুভব । অতীতের সিদ্ধান্ত নেওয়া কোন কিছু বিষয় বর্তমানে প্রয়োগ করতে চায় । যেমন কেও যদি অনেক দিন আগে কাওকে অপছন্দ করেছে , বর্তমানেও সে তাকে অপছন্দ করবে । সে অতীতের স্মৃতি নিয়ে বর্তমানে বেঁচে আছে । বর্তমানেও তার এটাই সিদ্ধান্ত , সে তাকে অপছন্দ করে । কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভূল । অতীতের কোন খারাপ কাজের জন্য সে তাকে অপছন্দ করেছিল , কিন্তু বর্তমানে সে খারাপ কাজ নাও করতে পারে । কাল তাকে অপছন্দ ছিল ; আজও তাকে অপছন্দ করা যুক্তি সঙ্গত নয় । অতীতের স্মৃতি নিয়ে জীবন বাঁচলে , বর্তমানে আপনার জন্য যে সুখ , শান্তি , সমৃদ্ধি ও আনন্দ বরাদ্দ ছিল ; সেটা পাশ কাটিয়ে চলে যাবে । অতীতেও জীবন থাকে না , ভবিষ্যৎ এখনও আসেনি ; তাই বর্তমানে বাঁচা উচিত । বর্তমানের সাথে নিজেকে যুক্ত করাই যোগ । অতীতের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই ; তাকে একধারে সরিয়ে রেখে বর্তমান উপভোগ করুন ।

কর্ণের মৃত্যু অর্জুনের কারণে হয়নি , শ্রী কৃষ্ণ একথা অর্জুনকে বললেন কর্ণের মৃত্যুর পর । #অজিত মাহাত

ছবি
মহাবীর কর্ণ - Spiritual Ajit কুন্তী বিবাহের পূর্বে দুর্বাসা মুনির কাছে আশীর্বাদ লাভ করেন যে , তিনি যে দেবতাকে স্বরণ করে পুত্র সন্তান চাইবেন , তাঁর ঔরসজাত সন্তান পাইবেন । তাই কুমারী কুন্তী কৌতূহল ও অজ্ঞান বশত সূর্যদেবকে প্রার্থনা করলেন এবং পুত্র সন্তান চাইলেন । কুমারী অবস্থায় সূর্য দেবের সহিত মিলনে তাঁর  কবজকুন্ডল পরিহিত এক তেজস্বী পুত্র সন্তান জন্ম হইল । কিন্তু কুমারী অবস্থায় সন্তান জন্মের কারণে লোকলজ্জার ভয়ে তাঁকে নদীতে ভাঁসিয়ে দিল । ভীষ্মের সারথী অধিরথ ও তাঁর স্ত্রী রাধা কর্ণকে উদ্ধার করে নিজের পুত্র রূপে লালন পালন করতে লাগলেন । সূর্য পুত্র হওয়ায় ছোট থেকেই তাঁর বীর স্বভাব লক্ষ্য করা যায় । কুরু রাজকুমারদের গুরু দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষার জন্য গেলে , সুত পুত্র বলে কর্ণকে প্রত্যাখ্যান করেন । তখন কর্ণ , দ্রোণাচার্যের গুরু পরশুরামের কাছে শিক্ষা লাভ করতে যায় । কিন্তু পরশুরাম ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কাউকে শিক্ষা দেন না । সেই জন্য কর্ণ নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দেন । অস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার পর পরশুরাম স্বীকার করেছিলেন যে কর্ণ তাঁর সমতুল্য যোদ্ধা । কিন্তু একদিন পরশুরাম কর্ণ

দেহতত্ত্ব মতে মহাভারতের কুরু বংশ তালিকা ও তার আধ্যাত্মিক অর্থ জেনে নিন । #অজিত মাহাত

ছবি
বেদব্যাস - কুরু বংশ তালিকা - Spiritual Ajit ১/ শান্তনু = নির্বিকার ব্রহ্ম চৈতন্য ২/ গঙ্গা = চৈতন্যা প্রকৃতি ৩/ ভীষ্ম = আভাস চৈতন্য , বা অস্মিতা বা প্রভাস ৪/ সত্যবতী = জড় প্রকৃতি ৫/ বেদব্যাস = ভেদ জ্ঞান ( পরাশর ঋষির শুক্রজাত ) ৬/ চিত্রাঙ্গদ = ঐশ মহত্তত্ত্ব ৭/ বিচিত্রবীর্য = ঐশ অহংকার ৮/ অম্বিকা = সংশয় বৃত্তি ৯/ অম্বালিকা = নিশ্চয় বৃত্তি ১০/ ধৃতরাষ্ট্র = মন ( অন্ধ ) ১১/ পান্ডু = নির্মল বুদ্ধি ( ইনি পুরুষ হইয়াও নপুংসকবৎ ) ১২/ গান্ধারী = প্রবৃত্তি শক্তি ১৩/ বৈশ্য = প্রবৃত্তি আশক্তি ( গ্রহণ , ত্যাগ ) ১৪/ কুন্তী = নিবৃত্তি শক্তি ১৫/ মাদ্রী = নিবৃত্তি ১৬/ দূর্যোধনাদি = কামক্রোধাদি ১৭/ যুযুৎসু = যুদ্ধেচ্ছা ( ইনি যুদ্ধের প্রাক্কালে সসৈন্য পান্ডব পক্ষ অবলম্বন করেন ) ১৮/ যুধিষ্ঠির = আকাশতত্ত্ব ( শব্দ গুন ) ১৯/ ভীম = বায়ুতত্ত্ব ( শব্দ ও স্পর্শ গুন ) ২০/ অর্জ্জুন = তেজতত্ত্ব ( শব্দ , স্পর্শ ও রূপ গুন ) ২১/ নকুল = রসতত্ত্ব ( শব্দ , স্পর্শ , রূপ , ও রস গুন ) ২২/ সহদেব = পৃথ্বীতত্ত্ব ( শব্দ , স্পর্শ , রূপ , রস ও গন্ধ গুন ) ২৩/ দ্রৌপদী = কুলকুন্ডলিনী ২৪/ সুভদ্রা = অতিশয

মহাভারতে দেহতত্ত্ব মতে ষটচক্রে কৌরবদের স্থান কোথায় ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারতে কৌরব - Spiritual Ajit দূর্যোধন - যার সহিত অতি কষ্টে যুদ্ধ করতে পারা যায় , তাহাই দূর্যোধন । রিপুর মধ্যে দুর্যোধনকে কামের সাথে তুলনা করা হয় । দূর্যোধন মূলাধার চক্রে পান্ডবদের বিরুদ্ধে অবস্থান করে । দূঃশাসন ও জয়দ্রথ - দুঃশাসন হল ক্রোধ ও জয়দ্রথ হল মৃত্যু ভয় । পরস্পর সাপেক্ষ বলে ইহারা একত্রে স্বাধীষ্ঠান চক্রে পান্ডবদের বিরুদ্ধে অবস্থান করে । কর্ণ ও বিকর্ণ - কর্ণ হলো কর্ত্তব্য কর্ম বা রাগ এবং বিকর্ণ হলো অকর্ত্তব্য কর্ম বা দ্বেষ । কর্ণ ও বিকর্ণ উভয়েই মণিপুর চক্রে পান্ডবদের বিরুদ্ধে অবস্থান করে । শকুনি - ইনিই ' মোহ ' উৎপন্ন করে দুই পক্ষকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করিয়েছিলেন । শল্য - ইনি হচ্ছেন জীবের সংস্কারজ হচ্ছে কর্ম ; জীবের সংসার বন্ধনের কারণ । ইনি বিশুদ্ধ চক্রে পান্ডবদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেন । ভীষ্ম , দ্রোন ও কৃপ - এনারা হলেন রিপুদের মধ্যে মৎসরতা । ইনারা একত্রে আজ্ঞা চক্রে অবস্থান করেন । অশ্বত্থামা - অশ্বত্থামা হল কর্মফল । তাই তিনি প্রত্যেক রিপুতে এবং প্রত্যেক চক্রে অবস্থান করেন । কৌরব , দূর্যোধন - Spiritual Ajit

মহাভারতে দেহতত্ত্বের বিশ্লেষনে পাঁচ পান্ডবদের স্থান কোথায় ? এবং তাঁদের নামের গুরুত্ব কি ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারতে পান্ডব - Spiritual Ajit সহদেব -  সহ = সহিত , দেব = যে খেলা করে । অর্থাৎ দেবের সহিত যে খেলা করে সে সহদেব । সহদেব হলো পৃথ্বীতত্ত্ব , যার গুন - শব্দ , স্পর্শ , রূপ , রস ও গন্ধ । এই পাঁচ গুনের সঙ্গেই জীবের ঘনিষ্ঠতা বেশি । এই ঘনিষ্ঠ তার জন্যই শরীরাভিমান প্রবল । সহদেব কে পঞ্চভূতের মধ্যে ক্ষিতি অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে তুলনা করা হয় । ছয় জ্ঞান সাধনার মধ্যে সহদেবকে ' শম ' এর সাথে তুলনা করা হয় । লৌকিক ব্যাপার হইতে মনকে নিবৃত্তি করা বা দূরে সরিয়ে রাখাই হলো ' শম ' । ষটচক্রের মধ্যে ' মূলাধার ' চক্রে স্থান হয় সহদেবের । সহদেব - Spiritual Ajit নকুল - নকুল হলো রসতত্ত্ব । যার গুন - শব্দ , স্পর্শ , রূপ ও রস । যত প্রকারের রস আছে , তা ভোগ করে শেষ করতে পারা যায় না , অর্থাৎ ভোগের দ্বারা রসের কুল বা সীমা পাওয়া যায় না ; এই জন্য রসতত্ত্বের নাম নকল । নকুল কে পঞ্চতত্ত্বের মধ্যে অপ্ অর্থাৎ জলের সাথে তুলনা করা হয় । ছয় জ্ঞান সাধনার মধ্যে নকুল কে ' দম ' এর সাথে তুলনা করা হয় । ভোগ্য বস্তুর প্রতি আসক্তি না রাখা বা নিজের পঞ্চইন্দ্রিয়কে দমিয়ে রাখাই হল 

কেন মনে হয় , ভালো মানুষদের সাথেই যত অন্যায় হয় ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
ভালো মানুষদের সাথেই যত অন্যায় - Spiritual Ajit এই পৃথিবীতে অনেক রকমের মানুষ আছেন । কিছু মানুষ খারাপ কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না , কোন ভয় ছাড়াই তাঁরা খারাপ কাজ করে ফেলেন । আবার এমনও কিছু মানুষ আছেন , যাঁরা খারাপ কাজ করতে খুবই ভয় পান । উনারা ভাবেন যে , এই খারাপ কাজ করলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতেই হবে । পাপ - পূন্যের জ্ঞান তাদের থাকে । কিন্তু তা সত্ত্বেও ভালো মানুষদের সাথেই যত অন্যায় হয় । কিন্তু তা কেন ! আসলে কিন্তু ভালো মানুষদের সাথে কোন অন্যায় হয় না । যদি কোন মানুষ আগের জন্মের কর্মের ফলে সৎ - জ্ঞান লাভ করে থাকেন । তার ফলে সেই মানুষ সদাচারী ও ঈশ্বর অনুরাগী হয় । এই প্রকার মানুষ মায়াময় সংসারের সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট , অশান্তি থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি পেতে মোক্ষ লাভের জন্য কর্মফল ক্ষয় করতে থাকেন । সেই সদাচারী মানুষ , বিগত সমস্ত জন্মের পাপ কর্মের ফল শীঘ্রই ভোগ করে নেওয়ার সংকল্প নেন । সমস্ত পাপের ফল ভোগ শেষ হলেই মানুষ ঈশ্বর লাভ করিতে পারেন । এই  জন্য মুক্তিকামী সদাচারী মানুষদের জীবন খুবই দুঃখ - কষ্ট ও অশান্তির মধ্যে কাটে । তাঁদের সাথে বারংবার অন্যায় ও অবিচার হয় । যে

গুরু না থাকিলেও কি প্রকারে আত্মজ্ঞান হয় ? - #অজিত মাহাত

ছবি
আত্মজ্ঞান - Spiritual Ajit  মানুষের মন সবসময় সুখ , শান্তি ও আনন্দের খোঁজ করেন । মানুষের এই সুখ ভোগের ইচ্ছা থেকেই আসক্তি সৃষ্টি হয় । আসক্তি মনকে প্রভাবিত করে । এই ভোগের প্রতি আসক্তিই হল সমস্ত অনর্থের মূল । শুভ কর্মের ফলে মানুষ সুখ ভোগ করিয়া থাকেন । অশুভ কর্মের ফলে মানুষ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকেন । কিন্তু মানুষ তাতে সন্তুষ্ট নন । তিনি অশুভ কাজের মধ্যেও সুখ খোঁজে বেড়ান । যেটা কখনও সম্ভব নয় । অনেক সময় অশুভ কর্ম কারী ব্যাক্তি গত জন্মের পূণ্য কর্মের ফলে সুখ ভোগ করিয়া ভাবেন , ঐ অশুভ কর্মের ফলেই তিনি সুখ পাচ্ছেন । যেটা তাঁর ভ্রম । আবার শুভ কর্ম কারী ব্যাক্তিরা তাঁর পুণ্যের সবটুকু সুখ ভোগ করিয়া , পরে যখন আর সুখ না পান ; তখন তাঁরা নিরাশ হয়ে দুঃখ ভোগ করিয়া থাকেন । মানুষের এই কর্মচক্রে দুঃখের নিবৃত্তি কখনও হয় না । পৃথিবীর সমস্ত প্রকার দুঃখ থেকে নিবৃত্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল আত্মজ্ঞান । এই আত্মজ্ঞান কিভাবে লাভ হয় ! আত্মজ্ঞান লাভ করতে হলে সৎ - গুরুর দেখানো পথে চলে সাধনা ও জ্ঞান লাভ করতে হয় । আত্মজ্ঞান - Spiritual Ajit অনেক সময় গুরু না থাকিলেও কারো কারো আত্মজ্ঞান হয়ে যায়