গুরু না থাকিলেও কি প্রকারে আত্মজ্ঞান হয় ? - #অজিত মাহাত
আত্মজ্ঞান - Spiritual Ajit |
পৃথিবীর সমস্ত প্রকার দুঃখ থেকে নিবৃত্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল আত্মজ্ঞান ।
এই আত্মজ্ঞান কিভাবে লাভ হয় ! আত্মজ্ঞান লাভ করতে হলে সৎ - গুরুর দেখানো পথে চলে সাধনা ও জ্ঞান লাভ করতে হয় ।
আত্মজ্ঞান - Spiritual Ajit |
লৌকিক ব্যাপার হইতে মনকে নিবৃত্তি করা বা দূরে সরিয়ে রাখাই হলো - শম ।
ভোগ্য বস্তুর প্রতি আসক্তি না রাখা বা নিজের পাঁচ ইন্দ্রিয়কে দমিয়ে রাখাই হল - দম ।
জ্ঞানলাভ করিবার প্রতিবন্ধক কর্মকে পরিত্যাগ করাই হলো - উপরতি ।
শীত হোক কিংবা উষ্ণতা , যে কোনো আবহাওয়া সহ্য করে মন স্থির রাখাই হলো - তিতিক্ষা ।
নিদ্রা ও আলস্য পরিত্যাগ করে ঈশ্বরের প্রতি চিত্তের একাগ্রতাই - সমাধান ।
ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস বা আস্তিকতাই - শ্রদ্ধা ।
এবং মোক্ষ লাভের জন্য তীব্র অভিলাষ - এই কয়টি জ্ঞান সাধনার অনুষ্ঠান যাঁদের মধ্যে হয় , তাঁদের ধর্মজিজ্ঞাসা হউক বা না হউক ; তাঁদের ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হয় । ব্রহ্মজিজ্ঞাসার ফলে ব্রহ্মকে জানা যায় । ব্রহ্মের তত্ত্ব বুঝিতে পারিলেই জীবের মোক্ষ অবশ্যম্ভাবী ।
এই ছয় প্রকার জ্ঞান সাধনার অনুষ্ঠান যাঁদের মধ্যে হয় না , তাঁদের ব্রহ্মজিজ্ঞাসা হতেই পারে না । ব্রহ্মজিজ্ঞাসা না হইলে আত্মজ্ঞান হয় না ।
শম , দম , উপরতি , তিতিক্ষা , সমাধান ও শ্রদ্ধা - এই ছয় প্রকার জ্ঞান সাধনার অনুষ্ঠান হইলে গুরু না থাকিলেও ব্রহ্মজিজ্ঞাসার ফলে মানুষের আত্মজ্ঞান হয় ।
আত্মজ্ঞান - Spiritual Ajit |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন