পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র বলা হয় কেন ? - #অজিত মাহাত

ছবি
কুরুক্ষেত্রই ধর্মক্ষেত্র - Spiritual Ajit সরস্বতী ও দৃষদ্বতী নদীর মধ্যবর্তী প্রদেশ । স্বায়ম্ভূব-মনুর সময়ে এরই নাম ব্রহ্মাবর্ত । পরে নাম হয় সমন্তপঞ্চক । পরশুরাম একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করে এখানে পিতৃতর্পণ করেছিলেন । সন্ন্যাস গ্রহণ করে কুরু এখানে তপস্যা করে স্থানটি পবিত্র ধর্মক্ষেত্রে পরিণত করেন । কুরুর যজ্ঞকালে সরস্বতী নদী , ওঘবতী নদী - রূপে এসে এই জমি ভিজিয়ে দিয়ে যান । যজ্ঞের পর এখানে হাল চালনা করে কুরু বরলাভ করেন যে , এখানে যাঁরা প্রাণত্যাগ করবেন তাঁরা স্বর্গে যাবেন । কুরু এখানে সব সময়েই হাল চালনা করতেন । কৌতূহলী ইন্দ্র মানুষের স্বর্গলাভের এই সহজ-পন্থা রোধ করার জন্য কুরুর কাছে এসে হাল চালনা করতে বারণ করলে উভয়ের মধ্যে শর্ত হয় , এখানে উপবাস করে কিংবা যুদ্ধ করে মারা গেলে মানুষ এমনকি পশুরাও স্বর্গে যাবে । কুরুক্ষেত্রে ইক্ষুমতী নদীতীরে তক্ষক বাস করতেন । কুরুক্ষেত্রে শান্তনুর পুত্র চিত্রাঙ্গদ নিহত হন । দৈত্যপতি সুন্দ ও উপসুন্দ কুরুক্ষেত্রে বাস করতেন । প্রাচীনতম রাজা মান্ধাতা এই কুরুক্ষেত্রেই পূণ্যযজ্ঞ করেছিলেন । জীবনে কখনও ক্রুদ্ধ হননি এমন মহান মুদগল মুণিরও বসতি ছিল এই কু

মহাভারতের বিরাট পর্ব্বে পঞ্চ-পাণ্ডবের ও দ্রৌপদীর অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের নাম কি ছিল ? - #অজিত মাহাত

ছবি
পঞ্চ-পান্ডবদের অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের ছদ্মনাম - Spiritual Ajit মহাভারতের বিরাট পর্ব্বে পঞ্চ-পাণ্ডবের ও দ্রৌপদীর অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁরা প্রকাশ্যভাবে নিজের নিজের একটা করে নাম রেখেছিলেন । সেগুলি হল , যথাক্রমে - যুধিষ্ঠির - কঙ্ক ভীম - বল্লব অর্জুন - বৃহন্নলা নকুল - গ্রন্থিক সহদেব - তন্তিপাল দ্রৌপদী - সৈরন্ধ্রী যুধিষ্ঠির নিজেদের মধ্যে আহ্বান বা সম্বোধনের জন্য তাঁদের প্রত্যেকের একটি করে গুপ্ত নাম রেখেছিলেন । সেগুলি হল , যথাক্রমে - যুধিষ্ঠির - জয় ভীম - জয়ন্ত অর্জুন - বিজয় নকুল - জয়ৎসেন সহদেব - জয়দ্বল দ্রৌপদী - মালিনী পঞ্চ-পাণ্ডব ও দ্রৌপদী এক বৎসর অজ্ঞাত বাসের সময় এই ছদ্মনাম ও গুপ্তনামগুলি নিজেদের পরিচয়ের জন্য ব্যবহার করেছিলেন ।  পঞ্চ-পান্ডবদের অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের গুপ্তনাম - Spiritual Ajit

যুধিষ্ঠির ও যক্ষের কতকগুলি প্রশ্নোত্তর জেনে নিন । - #অজিত মাহাত

ছবি
যুধিষ্ঠির ও যক্ষের প্রশ্নোত্তর যক্ষরূপী ধর্মের প্রথম প্রশ্ন - কিবা বার্তা ? অর্থাৎ কথার মতো কথা কি ? যুধিষ্ঠিরের উত্তর - কালরূপ কর্তা সূর্যরূপ আগুনে দিন - রাত্রি স্বরূপ কাঠ জ্বালিয়ে মহামহোরূপ সংসারের কড়াইয়ে ঋতু ও মাস স্বরূপ হাতা দিয়ে ঘেঁটে ঘেঁটে প্রাণীগনকে পাক করছে , এটাই প্রকৃত কথা । দ্বিতীয় প্রশ্ন - সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য কি ? উত্তর - প্রতিদিনই চোখের সামনে জীবজন্তুর মৃত্যু হচ্ছে , তবুও যারা অবশিষ্ট থাকে , অর্থাৎ বেঁচে আছে , তারা মনে করে যে , তারা আর মরবে না । - এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের ।  যুধিষ্ঠির ও যক্ষের প্রশ্নোত্তর তৃতীয় প্রশ্ন - প্রকৃত পথ কি ? উত্তর - তর্কের স্থিরতা নেই , বেদ-সকল ও স্মৃতিসমূহ ভিন্ন ভিন্ন মত অবলম্বন করে । বিভিন্ন মুনি বিভিন্ন রকমের মত পোষণ করেন । তবে একথা সত্য যে , ধর্মের প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞানরূপ গুহাতেই নিহিত থাকে , সুতরাং মহাজন ( অর্থাৎ অধিকাংশ সাধু ব্যক্তি ) যে পথে গমন করেন , সেই পথই প্রকৃত পথ । চতুর্থ প্রশ্ন - সর্বাপেক্ষা সুখী কে ? উত্তর - যে ব্যক্তি আপন গৃহে বাস করে ( প্রবাসী বা পরবাসী নয় ) , এবং যে ঋণ করে না ( অর্থাৎ অপরের কাছে ধ

একজন লোক দ্বিতীয় আর একজনকে খুন করলে , যে খুনি সে কি তাঁর পূর্বজন্মের শত্রুতার শোধ নিল , নাকি যে মরল সে আগের জন্মের দুষ্কর্মের ফল পেল । এতে হত্যাকারীর কী দোষ ? - #অজিত মাহাত

ছবি
প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit হত্যাকারীর দোষ আছে । দন্ড দেওয়া হল শাসকের কাজ , সর্বসাধারণের নয় । একজন লোকের দশটার সময় ফাঁসি হবার কথা । অন্য একজন লোক সেই ফাঁসির দন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত লোকটিকে জল্লাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঠিক দশটার সময় তাঁকে হত্যা করে বসল । এই পরিস্থিতিতে সেই হত্যাকারী লোকটিরও ফাঁসি হবে এই কারণে যে এই হুকুম অর্থাৎ মারবার ক্ষমতা তো রাজা বা সরকার জল্লাদকে দিয়েছিল , সেই হত্যাকারীকে কে হুকুম দিয়েছিল ? প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit যে মারল তাঁর স্মরণে ছিল না যে সে পূর্বজন্মের শোধ নিচ্ছে , তা সত্বেও সে মারল , এটা তাঁর দোষ । অন্য কাউকে মারবার অধিকার কারুরই নেই । মরতে কেউই চায় না । অন্যকে মারা মানে নিজের বিবেকের প্রতি অনাদর । মানুষমাত্রেরই আছে বিবেকশক্তি , সেই বিবেক অনুসারে ভালো বা মন্দ কাজ করার ব্যাপারে সে স্বাধীন ।  অতএব বিবেকের অনাদর করে অন্যকে মারা বা মারবার ইচ্ছা করা অন্যায় ।  প্রারব্ধ বনাম নতুন কর্ম - Spiritual Ajit যদি পূর্বজন্মের শোধ বা বদলা একে অপরের নিতে থাকে তা হলে এই শোধ - বোধের শৃঙ্খল কখনই শেষ হবে না আর মানুষ কোনদিন

একজনের হাত থেকে গেলাস পড়ে ভেঙ্গে গেল , এটা তাঁর অসাবধানতা নাকি তাঁর প্রারব্ধ ? - #অজিত মাহাত

ছবি
যেটা অসাবধানতায় ঘটে গিয়েছে সেটা প্রারব্ধ আর যেটা ঘটিয়েছেন সেটা নতুন কর্ম - Spiritual Ajit কর্ম করার সময় সাবধান থাকা উচিত কিন্তু ভালো বা মন্দ যাই ঘটে যাক , তাকে পুরোপুরি প্রারব্ধ বলে বাধ্য হয়েই মেনে নেওয়া উচিত । তাতে যাঁরা এ কথা বলেন যে যদি তুমি একটু সাবধান হতে তা হলে গেলাসটা ভাঙত না - তাতে এইটুকু শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমার আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার , যাতে দ্বিতীয়বার এমন ভুল না হয় । বাস্তবে যা ঘটে গিয়েছে , তাকে অসাবধানতা বলে না মনে করে ঘটবারই ছিল , এই মনে করা উচিত । সেইজন্য 'করাতে' থাকবে সাবধান , আর 'হওয়াতে' থাকবে প্রসন্ন । তাই অসাবধানতার কারণে গেলাস পড়ে ভেঙ্গে গেল , - এটা তাঁর প্রারব্ধ । আবার কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গেলাসটি ভেঙ্গে দেয় , - সেটা হবে তাঁর নতুন কর্ম ।  যেটা অসাবধানতায় ঘটে গিয়েছে সেটা প্রারব্ধ আর যেটা ঘটিয়েছেন সেটা নতুন কর্ম - Spiritual Ajit

প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - #অজিত মাহাত

ছবি
প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit এই জীব যা কিছু লাভ করছে , তা প্রারব্ধ অনুসারেই সে পাচ্ছে কিন্তু প্রারব্ধ বিধানের বিধাতা হলেন স্বয়ং ভগবান । তার কারণ হল , কর্ম জড় হওয়ার দরুন নিজে স্বাধীনভাবে কোন ফল দিতে পারে না । সেগুলি তো ভগবানের বিধান বা নির্দেশ অনুসারেই ফল দিয়ে থাকে । যেমন , একজন লোক সারাদিন ধরে যদি কারুর ক্ষেতে কাজ করে তো সন্ধ্যার সময় তার কাজের অনুরূপ পয়সা বা মজুরী পেয়ে থাকে , কিন্তু সেই মজুরী সে পায় ক্ষেতের মালিকের কাছ থেকে । পয়সা তো মেলে কাজ করলে তবেই , বিনা কাজে কি পয়সা মিলতে পারে ? পয়সা তো কাজ করলে তবেই পাওয়া যায় কিন্তু মালিক ছাড়া পয়সা দেবেটা কে ? যদি কেউ জঙ্গলে গিয়ে দিনভোর মেহনত বা পরিশ্রম করে তো তার কি পয়সা মিলবে ? কখনই মিলবে না । সেখানে দেখা হবে কার কথায় , হুকুমে বা নির্দেশে সে কাজ করেছে এবং কার উপর এর দায়িত্ব ছিল ।  প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit যদি কোন চাকর - বাকর বা মজুর খুব তৎপরতার সঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে পরম উৎসাহের সঙ্গে কোন কাজ করে শুধু মালিককে খুশি করার জন্য , তাঁর প্রসন্নতা লাভের জন্য

আকস্মিক মৃত্যু এবং অকাল মৃত্যুতে পার্থক্য কী ? - #অজিত মাহাত

ছবি
হঠাৎ জলে ডুবে মৃত্যু - আকস্মিক মৃত্যু - Spiritual Ajit কেউ যদি সাপে কামড়ালে মারা যান , আকস্মিকভাবে উপর থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান , জলে ডুবে মারা যান , হার্টফেল হয়ে মারা যান কিংবা কোন দুর্ঘটনায় মারা যান তখন তাকে 'আকস্মিক মৃত্যু' বলা হয় । স্বাভাবিক মৃত্যুর মতোই আকস্মিক মৃত্যুও প্রারব্ধ অনুসারে আয়ু পূর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলেই ঘটে থাকে । হার্টফেল হয়ে মৃত্যু - আকস্মিক মৃত্যু - Spiritual Ajit কোন লোক যদি জেনেশুনে আত্মহত্যা করে বসেন অর্থাৎ   গলায় ফাঁস লাগিয়ে , কুয়োয় লাফ দিয়ে , গাড়ির তলায় পড়ে , ছাদ থেকে লাফিয়ে , বিষ খেয়ে বা শরীরে আগুন লাগিয়ে মারা যান , তা হলে তাঁর সে মৃত্যু 'অকাল মৃত্যু' বলে পরিগণিত হবে , কারণ সে মৃত্যু আয়ু থাকতে থাকতেই ঘটে থাকে । আত্মহত্যাকারীর মনুষ্য - হত্যার পাপ লেগে যায় এবং সেই কারণে এ হল নতুন পাপ - কর্ম , প্রারব্ধ নয় । এই মানবদেহ পরমাত্মপ্রাপ্তি বা ভগবানকে লাভ করার জন্যই মিলেছে , অতএব আত্মহত্যা করে তাঁকে নষ্ট করা মহাপাপ । শরীরে আগুন লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত মৃত্যু - অকাল মৃত্যু - Spiritual Ajit কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা

আপনি কারো কোনো উপকার করে থাকলে , সেটা ভুলে যাওয়ায় আপনার কর্তব্য । - #অজিত মাহাত

ছবি
অহংকারী দুর্যোধন - Spiritual Ajit আপনার দ্বারা কোনো মানুষের যদি কিছু উপকার বা সেবা হয়ে যায় তাহলে এই অহংকার যেন করবেন না যে আপনি তাঁর উপকার করেছেন । এইটি নিশ্চিত জানবেন যে আপনার দ্বারা তাঁর যে উপকার হয়েছে সেটা তাঁর কোনো শুভকর্মের ফল । আপনি তো তাঁর জন্য কেবল নিমিত্ত হয়েছেন । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিন যে তিনি কাউকে সুখ প্রদানের জন্য আপনাকে নিমিত্ত করেছেন আর আপনার উপকার যে স্বীকার করেছেন সেই মানুষটি আপনার উপকার করেছেন বলে মনে করবেন । তিনি যদি আপনার উপকার মান্য করে অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ   করে তাহলে মনে মনে সংকুচিত হন এবং ভগবানকে বলুন , হে ভগবান ! আপনার কাজে আমার মিথ্যা প্রশংসা  কেন হচ্ছে ? আর তাঁকে নম্রতার সঙ্গে বলুন , ভাই ! আপনি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হন । তিনি আপনার জন্য এই বিধান সৃষ্টি করেছেন , আপনি বার বার সৎ কাজ করতে থাকুন যাতে বার বার আপনি সুখ লাভ করতে পারেন । আমি তো কেবল নিমিত্ত , আমার প্রশংসা করে আমাকে অহংকারী করে দিবেন না । আমি আপনার উপকার করেছি এই রকম কৃতজ্ঞতা তাঁর উপর চাপিয়ে দিবেন না । তা করলে তাঁর উপর ভারী বোঝা পড়বে । তিনি দুঃখিত হবেন , পরবর্তী সময়ে আপনার উপকার গ্রহনে তা

দুঃখের মূল কিভাবে ছিন্ন করবেন ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
দানবীর কর্ণ - Spiritual Ajit ' বাড়িটি আমার ' , ইঁটের প্রত্যেকটি কোণে ' আমিত্ব ' ভরে রয়েছে । সেটিকে বেচে দিলে , বিক্রিত দলিল হাতে এল । এর পর বাড়িতে আগুন লাগল । আমি বলতে শুরু করলাম , যাক ' ভালোই হয়েছে ' , টাকা তো হাতে এসে গিয়েছে । ' আমিত্ব ' চলে যেতেই বাড়ি পুড়ে যাওয়ার দুঃখ দূর হল । এখন দলিলের কাগজে আমিত্ব রয়েছে । খুব বড় বাড়ি থেকে সমস্ত ' আমিত্ব ' চলে গিয়ে সামান্য কাগজের টুকরোতে এসে গিয়েছে । এখন দলিলের দিকে কেউ দৃষ্টিপাত করে না । দলিল বিক্রি করলাম , হাতে টাকা এল । এরপর দলিলের কাগজ ছিঁড়ে যাক , পুড়ে যাক , কোনো চিন্তা নেই । সমস্ত ক্ষমতা এখন টাকার থলিতে এসেছে । এখন তাকেই সামলাতে হচ্ছে । এরপর টাকা কোন মহাজনকে দেওয়া হল , এবার তার কাছ থেকে যদি টাকা চুরি যায় তাতে কোনো পরোয়া নেই । তার খাতায় নিজের টাকা জমা থাকা এবং চিন্তা এইটুকু যে , সেই মহাজনের ফার্ম যাতে টিকে থাকে , দেউলিয়া হয়ে না যায় । এইভাবে মমতা যার প্রতি থাকে তার সম্পর্কেই চিন্তা হয় । এই মমতাই হল দুঃখের মূল । বাস্তবে ' আমার ' কোনো বস্তু নয় । যদি আমার হত তাহলে সঙ্গ

মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - Spiritual Ajit মনের মধ্যে জগৎ এবং জগতের বিষয়সমূহ ভরে আছে । এই জড় জাগতিক বিষয়সমূহই হল ভ্রান্তি জ্ঞান । মন থেকে জগৎকে বার করবার চেষ্টা না করে ভগবানকে মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে আরম্ভ করুন । তাহলে জগৎ নিজ মন থেকে নিজেই চলে যাবে । মনে করুন মাটির মধ্যে একটি পাত্র পোঁতা আছে এবং সেই পাত্রের মুখটি মাটির উপরে খোলা অবস্থায় আছে । সেই পাত্রে জল ভর্তি আছে । পাত্রটি মাটি থেকে না খুঁড়ে , বা পাত্রটি না উল্টে কিভাবে আপনি ঐ পাত্রের জল বের করবেন ? পাথর জল থেকে ভারী , সেই পাত্রে পাথর ঢালতে থাকুন । পাথর যতটা জায়গা নেবে সেই পরিমাণ জল বাইরে বেরিয়ে আসবে । পাত্রটি পাথর দিয়ে ভরে দিন , তাহলে সব জল বেরিয়ে যাবে । এইভাবে , ভগবান যেমন যেমন স্থান আমাদের হৃদয়ে দখল করবেন ততটাই তা জড় জাগতিক বিষয় বা ভ্রান্তি জ্ঞান খালি হয়ে যাবে । ভগবানের দ্বারা হৃদয় পরিপূর্ণ হলে জড় জাগতিক বিষয় জ্ঞান সবটাই বাইরে বেরিয়ে আসবে । অন্ধকারকে দূর করতে চেষ্টা করবেন না , আলো নিয়ে আসুন , অন্ধকার নিজে থেকেই সরে যাবে । সেই জন্য মনের মধ্যে ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠিত করুন । মনে ঈশ্বর প্রতি

মহাভারত গ্রন্থের নামের তাৎপর্য কি ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারত - Spiritual Ajit দুষ্মন্ত রাজার ঔরসে ও শকুন্তলার গর্ভে সর্ব-দমন ভরতের জন্ম । কুরুপান্ডবেরা এবং তাঁদের পূর্বপুরুষেরা এই ভরতেরই উত্তরপুরুষ । এই সকল মহাপুরুষের চরিত্র অবলম্বনে মহর্ষি বেদব্যাস রচিত ইতিহাস বা মহাকাব্যের নাম তাই 'ভারত' । দেবতারা ও ঋষিরা এই গ্রন্থের মহত্ব ও গুরুত্ব উপলব্ধি করবার উদ্দেশ্যে দাঁড়িপাল্লাতে একদিকে চারখানি বেদ ও উপনিষদ রেখেছিলেন এবং অপরদিকে 'ভারত' রেখে ওজন করে দেখলেন যে , ভারে ও মহত্বে 'ভারত' -ই মহান ( অধিক গুরুতর ) । তখন থেকেই 'ভারত' গ্রন্থ সকল জ্ঞান ও সৌন্দর্যের আকররূপে 'শ্রীমহাভারত' আখ্যায় ভূষিত হলো । যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit যুধিষ্ঠিরকে যদি ধর্মময় মহাবৃক্ষরূপে ধরা যায় , তাহলে এই বৃক্ষের কাণ্ড হলেন ধনঞ্জয় , শাখা হলেন ভীম । নকুল এই বৃক্ষের পুষ্প ও সহদেব ফল । পরমব্রহ্ম শ্রী কৃষ্ণ এবং ব্রহ্মস্বরূপ ব্রাহ্মনগন সেই মহাবৃক্ষের মূল । দুর্যোধন - Spiritual Ajit মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের বিপরীত তথা পাপময় চরিত্র দুর্যোধন । ক্রোধই এই পাপাত্মার সকল দুর্ভাগ্যময় পরিণতির কেন্দ্র । সুতরাং ক্রোধময় মহাবৃক্

ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহাদেব - এনাদের মধ্যে কে সবথেকে বড় ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহাদেব - Spiritual Ajit সত্যযুগে শ্বেতদ্বীপে  বিষ্ণু অনন্ত সুখ লাভের জন্য এবং ব্রহ্মা সমস্ত বাসনা জয় করার জন্য দীর্ঘ তপস্যা  করছিলেন । এই সময়েই তাঁদের একবার সাক্ষাৎকার ঘটে । দুজনের মধ্যে কে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মতান্তর হওয়ায় লিঙ্গ দেহ ধারণ করে শিব তাঁদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর আদি ও অন্তের সন্ধান করতে বলেন । তাঁর লিঙ্গদেহের আদি উৎস ( নিম্ন ) সন্ধানে বিষ্ণুকে এবং অন্ত ( ঊর্ধ্ব ) ভাগ সন্ধানে ব্রহ্মাকে আদেশ করেন । এবং বলেন যে , যে সর্বপ্রথম তাঁর দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন তিনিই সবথেকে বড় । বিষ্ণু ও ব্রহ্মা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিবের আদি ও অন্তের সীমানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না । এমন সময় ব্রহ্মা শিবের লিঙ্গদেহের ঊর্ধ্ব দিকে যেতে যেতে লক্ষী-অংশে জাতা দক্ষদুহিতা কেতকী ( পুষ্প ) - কে পান এবং আর না উঠে ঐ ফুলটিকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে এসে জানান যে , তিনি শিবের মাথা থেকে এটিকে নিয়ে এসেছেন । কেতকী , ব্রহ্মার এই মিথ্যাকে সমর্থন করলে শিব রুষ্ট হন এবং কেতকীকে শাপ দেন যে , কোন পূজায় কেতকী ফুল ব্যবহৃতা হবেন না । দেবপূজায় না ব্যবহৃতা হলেও লোকপূজিতা হবার

শ্রী কৃষ্ণের পায়ের তলাই কি ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য দুর্বল জায়গা ! - #অজিত মাহাত

ছবি
পায়ের তলায় তীরবিদ্ধ শ্রী কৃষ্ণ - Spiritual Ajit শ্রী কৃষ্ণের চরণে তীরবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের দ্বারা , শ্রী কৃষ্ণ ঋষি দুর্বাসার বাক্যকে সার্থক করলেন । একবার ঋষি দুর্বাসা শ্রী কৃষ্ণের সামনে উত্তপ্ত পায়েস খেতে খেতে কৃষ্ণকে সারা গায়ে সেই উচ্ছিষ্ট পায়েস মাখতে বলেন । কৃষ্ণ নিজের সারা গায়ে তা' মাখেন , কিন্তু ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ট বলে পায়ের তলায় মাখেন না । দুর্বাসা তখন রুক্মিণীর গায়ে পায়েস মাখিয়ে দিয়ে তাঁকে রথে জুড়ে নিয়ে নিজে সেই রথে চড়ে রুক্মিণীকে চাবুক মারতে থাকেন । রুক্মিণী ব্রাহ্মণের প্রতি অশেষ ভক্তির জোরে রথ টেনে চলেন । দুর্বাসা এই দম্পতির কোন দোষ খুঁজে পান না এবং তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হন । এই ঘটনাতে কৃষ্ণ ক্রোধ জয় করতে পেরেছিলেন বলে দুর্বাসা তাঁকে ক্রোধজিৎ বলে প্রশংসা করেন এবং বর দেন যে , তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সকলের প্রিয় হবেন । দুর্বাসার বরে সারা গায়ে পায়েস মাখার জন্য এঁদের দেহে কোনদিন জরা আসেনি এবং সারা গা অভেদ্য হয়ে থাকে ; কেবল পায়ের তলার বাদ থাকার জন্য পায়ের তলাতেই বাণবিদ্ধ হবার সম্ভাবনা থেকে যায় । শ্রী কৃষ্ণ নিজের সেই লাল টুকটুকে পা-দু'খানি জীরু ব্য

কুন্তীর কারণে সমস্ত নারীকুলকে শাপ দিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির । - #অজিত মাহাত

ছবি
কুমারী কুন্তীর পুত্র লাভ - Spiritual Ajit কর্ণের মৃত্যুর পর , কুন্তী যুধিষ্ঠিরের কাছে কর্ণের জন্মপরিচয় স্বীকার করলেন । যুধিষ্ঠির বুঝতে পারলেন যে , এই বিরাট যুদ্ধ ও লোকক্ষয়ের মূলে মাতা কুন্তীর সত্যগোপনের ইচ্ছাই দায়ী । কারণ কর্ণ তাঁদের বড় ভাই , এ কথা জানলে তাঁরা সিংহাসনের জন্য এ যুদ্ধ করতেন না ; বরং কর্ণকেই রাজা করে তাঁর সেবা করতেন । বলা বাহুল্য , কর্ণকে রাজত্ব দিতে দুর্যোধনও অরাজী হতেন না । এই জন্য কর্ণের মৃত্যু শোকে , যুধিষ্ঠির সমস্ত নারীকুলকে এই অভিশাপ দেন যে , - ভবিষ্যতে নারীদের হৃদয়ে এইভাবে আর কোন কথা গোপন থাকবে না ; এমন কি অতি সাংঘাতিক গুপ্ত কথাও তাঁরা প্রকাশ করতে বাধ্য হবেন ।  এই জন্য যুধিষ্ঠিরের অভিশাপে , নারীগনের কাছ থেকে অতি গোপন কথাও কোন না কোনদিন প্রকাশ হয়েই থাকে ।  যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit

মানুষের প্রধান চিত্তবৃত্তি বা মনোবৃত্তিগুলি কি কি ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মানুষের প্রধান মনোবৃত্তিগুলি - Spiritual Ajit মানুষের চিত্তবৃত্তি বা মনোবৃত্তিগুলি অসংখ্য হইলেও সেগুলিকে পাঁচ প্রকার অবস্থায় বিভক্ত করা যায় । চিত্তের সেই পাঁচ প্রকার অবস্থাগুলি হল - ১/ ক্ষিপ্ত - মনের অস্থির ও চঞ্চল অবস্থার নাম ক্ষিপ্ত অবস্থা । এই অবস্থায় মন কেবল এটা ওটা সেটা লইয়াই ব্যাস্ত , স্থির হয় না । এটাই ক্ষিপ্ত অবস্থার স্বভাব । ২/ মূঢ় - যখন মন , কাম , ক্রোধ , নিদ্রা , আলস্য প্রভৃতি দ্বারা অভিভূত হইয়া কর্ত্তব্য জ্ঞানশূন্য হয় , তখনই মনের মূঢ় অবস্থা । ৩/ বিক্ষিপ্ত - মন কোন একটা সুখের বিষয় পাইলে তাহাতে আকৃষ্ট হয় এবং কিছুক্ষণ তাহা অবলম্বন করিয়া একটু স্থির হয় । কিন্তু স্বভাব - দোষে তখনই অস্থির ও চঞ্চল হয় । এই ক্ষণবিরাম বিশিষ্ট চঞ্চল অবস্থার নামই বিক্ষিপ্ত অবস্থা । ৪/ একাগ্র - মন যখন অন্তরে কিংবা বাহ্যে কোন একটা লক্ষ্য অবলম্বন করিয়া , কেবল সেই লক্ষ্যে স্থির হইয়া তাহারই স্বরূপ প্রকাশ করিতে থাকে , অন্য কিছুই অবলম্বন করে না , তখনই মনের একাগ্র অবস্থা । ৫/ নিরুদ্ধ - মন যখন ঐরূপ একাগ্র হইয়া নিজেকেও ভূলিয়া যায় , কোন বৃত্তি বা ক্রিয়াই থাকে না , অবলম্বনও থা

ভাগ্য আসলে কি ? সেটা কি পাল্টানো সম্ভব ? - #অজিত মাহাত

ছবি
দ্রৌপদীর ভাগ্য - Spiritual Ajit ভাগ্য কারো কৃপায় বা দয়ায় পাওয়া যায় না । ভাগ্য নিজেকেই তৈরী করতে হয় । কর্মের দ্বারাই মানুষ ভাগ্য তৈরী করতে পারে । ভাগ্য আসলে সঞ্চিত কর্মের ফল । ভাগ্য দুই প্রকারে পাওয়া যায় ; জন্মগত ভাগ্য ও কর্মগত ভাগ্য । গত জন্মের কর্মের ফলে মানুষ যে ভাগ্য পায় , তা হল জন্মগত ভাগ্য , আর এই জন্মের কর্মের ফলে মানুষ যে ভাগ্য পায় তা হল কর্মগত ভাগ্য । প্রত্যেক মানুষকেই তাঁর কর্মের ফল ভোগ করতে হয় । এমনকি দেব - দেবী বা কোন অবতার পুরুষকেও তাঁর কর্মের ফল ভোগ করতে হয় । যদি এই জন্মে কোন কারণ বশত কারো কর্মের ফল ভোগ না হয়ে থাকে , তবে তা পরজন্মে ভাগ্য হয়ে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হবে । যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর কর্মফল ভোগ হয় তিনি কর্মফলের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবেন না । কেউ খারাপ ভাগ্য নিয়ে জন্ম নিলেও , এই জন্মে তিনি যদি ভালো কাজ করেন , তো তাঁর ভাগ্য ভালো হয়ে যাবে । আবার কেউ ভালো ভাগ্য নিয়ে জন্ম নিলেও , এই জন্মে তিনি যদি খারাপ কাজ করেন , তো তাঁর ভাগ্য খারাপ হয়ে যাবে । কর্মের ফলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে । ঈশ্বরের কৃপা লাভের ফলেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে

যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলার সময় শ্রী কৃষ্ণ কেন পান্ডবদের সাহায্য করেনি ? - #অজিত মাহাত

ছবি
যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা - Spiritual Ajit  মহাভারতের লীলার অন্তিম সময়ে শ্রী কৃষ্ণের বাল্যকালের বন্ধু তথা ভক্ত উদ্ভব শ্রী কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন যে , তিনি পান্ডবদের আত্মীয় তথা বন্ধু হয়েও , পাশা খেলার সময় তিনি কেন যুধিষ্ঠিরকে সাহায্য করেনি ; তিনি যদি চাইতেন তো পাশা খেলার পরিণতি অন্যরকম হতো বা দ্রৌপদীর পরিস্থিতিও অন্য হতো । শ্রী কৃষ্ণ উদ্ভব কে বলেন যে , হার বা জিত পরিস্থতিতে বিবেকের উপর নির্ভর করে । পরিস্থিতি আসে ভাগ্যের দ্বারা , কিন্তু পরিস্থিতিতে কি নির্ণয় নেওয়া হবে সেটা ভাগ্য নির্ধারণ করে না । ঐ সময় দুর্যোধনের ধণ - সম্মত্তির অভাব ছিল না , কিন্তু তিনি পাশা খেলতে জানতেন না ; তাই তিনি তাঁর হয়ে শকুনিকে খেলতে বলেন । সেই সময় দুর্যোধনের অশুভ হলেও নির্ণয়টা বিবেকপূর্ণ বা সঠিক ছিল । কিন্তু যুধিষ্ঠির কি তাঁর হয়ে পাশা খেলতে আমাকে বলতে পারত না ! যদি খেলাটা শকুনির সাথে আমার হতো তাহলে পরিণতি কি অন্য হতো না । আমিও তো যুধিষ্ঠিরের পিসতুতো ভাই । কিন্তু যুধিষ্ঠির বিবেকহীন হয়ে , বাধ্য হয়ে হোক বা কারো ছলনাতে হোক , আমাকে ঐ সভায় না আসার জন্য বলেন । আমি যুধিষ্ঠিরের বচনের বন্ধনে বাঁধা ছিলাম ; কিন্ত

আধ্যাত্মিকতা কাকে বলে ? - #অজিত মাহাত

ছবি
আধ্যাত্মিকতা - Spiritual Ajit মানুষ জন্মের সময় নিজেকে সামান্য ভাবে না , ক্ষুদ্র শরীরে নিজেকে আবদ্ধ মনে করে না । যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষ সংসারের মায়ায় জড়িয়ে ভ্রান্তি জ্ঞানে নিজের আসল সত্ত্বা হারিয়ে ফেলছেন , ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ নিজেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড রুপে উপলব্ধি করেন । যতই মানুষ পঞ্চইন্দ্রীয় দ্বারা গৃহীত মিথ্যা জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে থাকে ততই মানুষ নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করতে থাকেন । মানুষ যখন বড় হয় , সামাজিক জ্ঞানে জ্ঞানী হয় ; তখন মানুষ নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করে ঈশ্বরকে খুঁজতে থাকেন । মানুষ তখন বোঝেই না যে , তিনি নিজেই ঈশ্বর । ভ্রান্তি জ্ঞানের দ্বারা তিনি ঈশ্বরের থেকে আলাদা হয়েছে । ' ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ হওয়ার আকাঙ্খাই হল আধ্যাত্মিকতা ' । কিন্তু মানুষ অচেতন জ্ঞানে পরিচালিত হয়ে ভূল পথে চলে যায় । ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ভিন্ন ভিন্ন আকাঙ্ক্ষা জাগে । কেউ বেশী টাকার মালিক হতে চায় , কেউ বেশী জ্ঞানী হতে চায় , কেউ সবথেকে শক্তিশালী হতে চায় , কেউ সবার ভালোবাসা পেতে চায় , ইত্যাদি ইত্যাদি । বড় হবার আকাঙ্ক্ষা সবার মধ্যেই থাকে , কিন্তু পথ ভিন্ন ভিন্ন । মানুষ এই পার্

পুনর্জন্ম কি সত্যিই হয় ? - #অজিত মাহাত

ছবি
পুনর্জন্ম - Spiritual Ajit পুনর্জন্ম নিয়ে মানুষের কৌতুহল অনেকদিন ধরেই আছে । কিন্তু পুনর্জন্ম বিষয়ে যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া খুবই মুশকিল । যদি আপনি বিশ্বাসের সহিত সত্যিই এটা জানার চেষ্টা করেন , তো অবশ্যই জানতে পারবেন । জন্ম - মৃত্যুর সংজ্ঞা আমি আগের একটি প্রবন্ধে আলোচনা করেছি , সেটা অবশ্যই পড়বেন এবং আমি আবারও একবার সংক্ষেপে এটা বলছি । আসলে আমাদের জন্ম কিন্তু হয়ই না । এই শরীরটা পৃথিবীর বিভিন্ন উপাদান নিয়ে তৈরী , আবার আমাদের মনটাও হল , আমাদের চারপাশের তথ্যের সমষ্টি । আমার শরীর , আপনার শরীর আলাদা ; আমার মন , আপনার মন আলাদা ; কিন্তু আমার প্রাণ , আপনার প্রাণ আলাদা নয় । প্রত্যেক প্রাণের সমষ্টিই হল পরমাত্মা । ' স্থিতি থেকে খন্ড হওয়ার শুরুকেই জন্ম বলে ' । আবার ' স্থিতি থেকে খন্ড হওয়ার পর পুনরায় স্থিতি তে মিলিত হওয়াকে মৃত্যু বলে ' । আসলে মৃত্যু শরীরের হয় , শরীরটা কিন্তু আমি নই । আমি হলাম প্রাণ । তাই প্রাণ শরীরের জন্মের আগেও ছিল এবং শরীরের মৃত্যুর পরও থাকবে । সুতরাং প্রাণকে আমি রুপে উপলব্ধি করলে আপনি অমর , আপনার জন্ম - মৃত্যু নেই ; আবার মনকে আমি রুপে উপলব্ধি করল

শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ কি শুধুই গান্ধারীর অভিশাপ না কি তাঁর কর্মফল ! - #অজিত মাহাত

ছবি
শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ - Spiritual Ajit  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দূর্যোধন ও তাঁর শত ভাই সহ কৌরব বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় শোকার্ত গান্ধারী এই দুর্দশার জন্য শ্রী কৃষ্ণকে দায়ী করেন । তিনি মনে করেন যে শ্রী কৃষ্ণের কারণেই এই যুদ্ধ হয়েছে । শ্রী কৃষ্ণ যদি চাইত এই যুদ্ধ আটকাতে পারত , কিন্তু কৃষ্ণ তা করেনি । সেই জন্য শোকার্ত গান্ধারী ক্রোধে শ্রী কৃষ্ণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যেভাবে কৌরব বংশ ধ্বংস হয়েছে সেইভাবে যদু - বংশও ধ্বংস হবে ; এবং শ্রী কৃষ্ণ আর মাত্র ৩৬ বছর বাঁচবেন । শ্রী কৃষ্ণ গান্ধারীর এই অভিশাপকে আশীর্বাদ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ; কারণ তিনি জানতেন প্রত্যেককেই তাঁর কর্মফল ভোগ করতে হয় ।  শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ - Spiritual Ajit শ্রী কৃষ্ণের পুত্র শাম্ব একবার তাঁর বন্ধুদের সাথে কয়েকজন ঋষির সাথে ছলনা করার জন্য গর্ভবতী মহিলার বেশে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে মহিলাবেশী শাম্বের কি সন্তান হবে , পুত্র নাকি কন্যা । ঋষিরা তাঁদের ছলনা বুঝতে পেরে ক্রোধে অভিশাপ দেন যে শাম্বের গর্ভে একটি মুসল জন্ম হবে এবং সেই মুসলই যদু বংশের বিনাশের কারণ হবে । পরবর্তীতে শাম্বের একটি লোহার পিন্ড রুপ