প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - #অজিত মাহাত
প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit |
এই জীব যা কিছু লাভ করছে , তা প্রারব্ধ অনুসারেই সে পাচ্ছে কিন্তু প্রারব্ধ বিধানের বিধাতা হলেন স্বয়ং ভগবান । তার কারণ হল , কর্ম জড় হওয়ার দরুন নিজে স্বাধীনভাবে কোন ফল দিতে পারে না । সেগুলি তো ভগবানের বিধান বা নির্দেশ অনুসারেই ফল দিয়ে থাকে । যেমন , একজন লোক সারাদিন ধরে যদি কারুর ক্ষেতে কাজ করে তো সন্ধ্যার সময় তার কাজের অনুরূপ পয়সা বা মজুরী পেয়ে থাকে , কিন্তু সেই মজুরী সে পায় ক্ষেতের মালিকের কাছ থেকে ।
পয়সা তো মেলে কাজ করলে তবেই , বিনা কাজে কি পয়সা মিলতে পারে ?
পয়সা তো কাজ করলে তবেই পাওয়া যায় কিন্তু মালিক ছাড়া পয়সা দেবেটা কে ? যদি কেউ জঙ্গলে গিয়ে দিনভোর মেহনত বা পরিশ্রম করে তো তার কি পয়সা মিলবে ? কখনই মিলবে না । সেখানে দেখা হবে কার কথায় , হুকুমে বা নির্দেশে সে কাজ করেছে এবং কার উপর এর দায়িত্ব ছিল ।
প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit |
যদি কোন চাকর - বাকর বা মজুর খুব তৎপরতার সঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে পরম উৎসাহের সঙ্গে কোন কাজ করে শুধু মালিককে খুশি করার জন্য , তাঁর প্রসন্নতা লাভের জন্য , তাহলে মালিক তার মজুরীর চেয়ে বেশি পয়সাও দিয়ে দেন এবং তার তৎপরতা ইত্যাদি গুন দেখে তাকে নিজের ক্ষেতের অংশীদারও করে নেন । ঠিক তেমনিই ভগবান মানুষকে তার কর্ম অনুসারেই ফল দিয়ে থাকেন । যদি কোন মানুষ ভগবানের আজ্ঞানুসারে তাঁর প্রসন্নতার জন্য সব কাজ করে , তাকে ভগবান অন্যদের চেয়ে বেশীই দিয়ে থাকেন কিন্তু যে ভগবানে সর্বথা সমর্পিত হয়ে সব কাজ করে থাকে , সেই ভক্তের ভগবানও ভক্ত হয়ে যান ।
সংসারে কেউই চাকরকে নিজের মালিক করে বসায় না কিন্তু ভগবান শরণাগত ভক্তকে নিজের মালিক বানিয়ে নেন । এমন উদারতা শুধু এই প্রভুরই আছে । এমন প্রভুর চরণে শরণ না নিয়ে যে মানুষ প্রাকৃতিক অর্থাৎ উৎপত্তি - বিনাশশীল পদার্থসমূহের পরাধীন হয়েই থেকে যায় , তার বুদ্ধি সর্বথাই নষ্টভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে । তারা এই কথাটুকু বুঝতেই পারে না যে আমার চোখের সামনে জন্মাচ্ছে ও মরছে , উৎপত্তি - বিনাশশীল এই যে পদার্থ - সমূহ , তারা আমাকে কতটুকু সাহায্য বা ভরসা দিতে পারে ?
প্রারব্ধ এবং ভগবৎকৃপায় কী পার্থক্য ? - Spiritual Ajit |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন