কর্ণের মৃত্যু অর্জুনের কারণে হয়নি , শ্রী কৃষ্ণ একথা অর্জুনকে বললেন কর্ণের মৃত্যুর পর । #অজিত মাহাত

মহাবীর কর্ণ - Spiritual Ajit
কুন্তী বিবাহের পূর্বে দুর্বাসা মুনির কাছে আশীর্বাদ লাভ করেন যে , তিনি যে দেবতাকে স্বরণ করে পুত্র সন্তান চাইবেন , তাঁর ঔরসজাত সন্তান পাইবেন । তাই কুমারী কুন্তী কৌতূহল ও অজ্ঞান বশত সূর্যদেবকে প্রার্থনা করলেন এবং পুত্র সন্তান চাইলেন । কুমারী অবস্থায় সূর্য দেবের সহিত মিলনে তাঁর  কবজকুন্ডল পরিহিত এক তেজস্বী পুত্র সন্তান জন্ম হইল । কিন্তু কুমারী অবস্থায় সন্তান জন্মের কারণে লোকলজ্জার ভয়ে তাঁকে নদীতে ভাঁসিয়ে দিল । ভীষ্মের সারথী অধিরথ ও তাঁর স্ত্রী রাধা কর্ণকে উদ্ধার করে নিজের পুত্র রূপে লালন পালন করতে লাগলেন । সূর্য পুত্র হওয়ায় ছোট থেকেই তাঁর বীর স্বভাব লক্ষ্য করা যায় । কুরু রাজকুমারদের গুরু দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষার জন্য গেলে , সুত পুত্র বলে কর্ণকে প্রত্যাখ্যান করেন । তখন কর্ণ , দ্রোণাচার্যের গুরু পরশুরামের কাছে শিক্ষা লাভ করতে যায় । কিন্তু পরশুরাম ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কাউকে শিক্ষা দেন না । সেই জন্য কর্ণ নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দেন । অস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার পর পরশুরাম স্বীকার করেছিলেন যে কর্ণ তাঁর সমতুল্য যোদ্ধা । কিন্তু একদিন পরশুরাম কর্ণের কোলে মাথা রেখে শুয়ে ছিলেন , এবং একটি বিছা কর্ণের জঙ্ঘে দংশন করে । কিন্তু কর্ণ , গুরুদেবের নিদ্রা ভঙ্গ হবে বলে ব্যাথা সহ্য করে চলেছিল । এমন সময় কর্ণের রক্ত পরশুরামের গায়ে লাগলে তাঁর নিদ্রা ভঙ্গ হয় , এবং তিনি বুঝলেন ব্রাহ্মণ এত সহ্যশীল হতে পারে না ; কর্ণ নিশ্চই ক্ষত্রিয় । পরে কর্ণ সত্য স্বীকার করায় , পরশুরাম ক্রোধে তাঁকে অভিশাপ দেন যে , সব থেকে বেশী প্রয়োজনের সময় তিনি অস্ত্র আহ্বান মন্ত্র ভুলে যাবেন ; কারণ তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অস্ত্র বিদ্যা শিক্ষা করেছেন । এই অভিশাপের কারণেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি অর্জুনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন । কর্ণের মৃত্যুর পর শ্রী কৃষ্ণ একথা অর্জুনকে বলেছিলেন ।
কর্ণ ও পরশুরাম - Spiritual Ajit

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মহাভারতের বিরাট পর্ব্বে পঞ্চ-পাণ্ডবের ও দ্রৌপদীর অজ্ঞাত বাসের সময় তাঁদের নাম কি ছিল ? - #অজিত মাহাত

ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহাদেব - এনাদের মধ্যে কে সবথেকে বড় ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ কি শুধুই গান্ধারীর অভিশাপ না কি তাঁর কর্মফল ! - #অজিত মাহাত