পোস্টগুলি

আপনি কারো কোনো উপকার করে থাকলে , সেটা ভুলে যাওয়ায় আপনার কর্তব্য । - #অজিত মাহাত

ছবি
অহংকারী দুর্যোধন - Spiritual Ajit আপনার দ্বারা কোনো মানুষের যদি কিছু উপকার বা সেবা হয়ে যায় তাহলে এই অহংকার যেন করবেন না যে আপনি তাঁর উপকার করেছেন । এইটি নিশ্চিত জানবেন যে আপনার দ্বারা তাঁর যে উপকার হয়েছে সেটা তাঁর কোনো শুভকর্মের ফল । আপনি তো তাঁর জন্য কেবল নিমিত্ত হয়েছেন । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিন যে তিনি কাউকে সুখ প্রদানের জন্য আপনাকে নিমিত্ত করেছেন আর আপনার উপকার যে স্বীকার করেছেন সেই মানুষটি আপনার উপকার করেছেন বলে মনে করবেন । তিনি যদি আপনার উপকার মান্য করে অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ   করে তাহলে মনে মনে সংকুচিত হন এবং ভগবানকে বলুন , হে ভগবান ! আপনার কাজে আমার মিথ্যা প্রশংসা  কেন হচ্ছে ? আর তাঁকে নম্রতার সঙ্গে বলুন , ভাই ! আপনি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হন । তিনি আপনার জন্য এই বিধান সৃষ্টি করেছেন , আপনি বার বার সৎ কাজ করতে থাকুন যাতে বার বার আপনি সুখ লাভ করতে পারেন । আমি তো কেবল নিমিত্ত , আমার প্রশংসা করে আমাকে অহংকারী করে দিবেন না । আমি আপনার উপকার করেছি এই রকম কৃতজ্ঞতা তাঁর উপর চাপিয়ে দিবেন না । তা করলে তাঁর উপর ভারী বোঝা পড়বে । তিনি দুঃখিত হবেন , পরবর্তী সময়ে আপনার উ...

দুঃখের মূল কিভাবে ছিন্ন করবেন ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
দানবীর কর্ণ - Spiritual Ajit ' বাড়িটি আমার ' , ইঁটের প্রত্যেকটি কোণে ' আমিত্ব ' ভরে রয়েছে । সেটিকে বেচে দিলে , বিক্রিত দলিল হাতে এল । এর পর বাড়িতে আগুন লাগল । আমি বলতে শুরু করলাম , যাক ' ভালোই হয়েছে ' , টাকা তো হাতে এসে গিয়েছে । ' আমিত্ব ' চলে যেতেই বাড়ি পুড়ে যাওয়ার দুঃখ দূর হল । এখন দলিলের কাগজে আমিত্ব রয়েছে । খুব বড় বাড়ি থেকে সমস্ত ' আমিত্ব ' চলে গিয়ে সামান্য কাগজের টুকরোতে এসে গিয়েছে । এখন দলিলের দিকে কেউ দৃষ্টিপাত করে না । দলিল বিক্রি করলাম , হাতে টাকা এল । এরপর দলিলের কাগজ ছিঁড়ে যাক , পুড়ে যাক , কোনো চিন্তা নেই । সমস্ত ক্ষমতা এখন টাকার থলিতে এসেছে । এখন তাকেই সামলাতে হচ্ছে । এরপর টাকা কোন মহাজনকে দেওয়া হল , এবার তার কাছ থেকে যদি টাকা চুরি যায় তাতে কোনো পরোয়া নেই । তার খাতায় নিজের টাকা জমা থাকা এবং চিন্তা এইটুকু যে , সেই মহাজনের ফার্ম যাতে টিকে থাকে , দেউলিয়া হয়ে না যায় । এইভাবে মমতা যার প্রতি থাকে তার সম্পর্কেই চিন্তা হয় । এই মমতাই হল দুঃখের মূল । বাস্তবে ' আমার ' কোনো বস্তু নয় । যদি আমার হত তাহলে সঙ্গ...

মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - #অজিত মাহাত

ছবি
মন থেকে কিভাবে ভ্রান্তি জ্ঞান দূর করবেন ? - Spiritual Ajit মনের মধ্যে জগৎ এবং জগতের বিষয়সমূহ ভরে আছে । এই জড় জাগতিক বিষয়সমূহই হল ভ্রান্তি জ্ঞান । মন থেকে জগৎকে বার করবার চেষ্টা না করে ভগবানকে মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে আরম্ভ করুন । তাহলে জগৎ নিজ মন থেকে নিজেই চলে যাবে । মনে করুন মাটির মধ্যে একটি পাত্র পোঁতা আছে এবং সেই পাত্রের মুখটি মাটির উপরে খোলা অবস্থায় আছে । সেই পাত্রে জল ভর্তি আছে । পাত্রটি মাটি থেকে না খুঁড়ে , বা পাত্রটি না উল্টে কিভাবে আপনি ঐ পাত্রের জল বের করবেন ? পাথর জল থেকে ভারী , সেই পাত্রে পাথর ঢালতে থাকুন । পাথর যতটা জায়গা নেবে সেই পরিমাণ জল বাইরে বেরিয়ে আসবে । পাত্রটি পাথর দিয়ে ভরে দিন , তাহলে সব জল বেরিয়ে যাবে । এইভাবে , ভগবান যেমন যেমন স্থান আমাদের হৃদয়ে দখল করবেন ততটাই তা জড় জাগতিক বিষয় বা ভ্রান্তি জ্ঞান খালি হয়ে যাবে । ভগবানের দ্বারা হৃদয় পরিপূর্ণ হলে জড় জাগতিক বিষয় জ্ঞান সবটাই বাইরে বেরিয়ে আসবে । অন্ধকারকে দূর করতে চেষ্টা করবেন না , আলো নিয়ে আসুন , অন্ধকার নিজে থেকেই সরে যাবে । সেই জন্য মনের মধ্যে ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠিত করুন । মনে ঈশ্বর প্রতি...

মহাভারত গ্রন্থের নামের তাৎপর্য কি ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
মহাভারত - Spiritual Ajit দুষ্মন্ত রাজার ঔরসে ও শকুন্তলার গর্ভে সর্ব-দমন ভরতের জন্ম । কুরুপান্ডবেরা এবং তাঁদের পূর্বপুরুষেরা এই ভরতেরই উত্তরপুরুষ । এই সকল মহাপুরুষের চরিত্র অবলম্বনে মহর্ষি বেদব্যাস রচিত ইতিহাস বা মহাকাব্যের নাম তাই 'ভারত' । দেবতারা ও ঋষিরা এই গ্রন্থের মহত্ব ও গুরুত্ব উপলব্ধি করবার উদ্দেশ্যে দাঁড়িপাল্লাতে একদিকে চারখানি বেদ ও উপনিষদ রেখেছিলেন এবং অপরদিকে 'ভারত' রেখে ওজন করে দেখলেন যে , ভারে ও মহত্বে 'ভারত' -ই মহান ( অধিক গুরুতর ) । তখন থেকেই 'ভারত' গ্রন্থ সকল জ্ঞান ও সৌন্দর্যের আকররূপে 'শ্রীমহাভারত' আখ্যায় ভূষিত হলো । যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit যুধিষ্ঠিরকে যদি ধর্মময় মহাবৃক্ষরূপে ধরা যায় , তাহলে এই বৃক্ষের কাণ্ড হলেন ধনঞ্জয় , শাখা হলেন ভীম । নকুল এই বৃক্ষের পুষ্প ও সহদেব ফল । পরমব্রহ্ম শ্রী কৃষ্ণ এবং ব্রহ্মস্বরূপ ব্রাহ্মনগন সেই মহাবৃক্ষের মূল । দুর্যোধন - Spiritual Ajit মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের বিপরীত তথা পাপময় চরিত্র দুর্যোধন । ক্রোধই এই পাপাত্মার সকল দুর্ভাগ্যময় পরিণতির কেন্দ্র । সুতরাং ক্রোধময় মহাবৃক্...

ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহাদেব - এনাদের মধ্যে কে সবথেকে বড় ? জেনে নিন ... - #অজিত মাহাত

ছবি
ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহাদেব - Spiritual Ajit সত্যযুগে শ্বেতদ্বীপে  বিষ্ণু অনন্ত সুখ লাভের জন্য এবং ব্রহ্মা সমস্ত বাসনা জয় করার জন্য দীর্ঘ তপস্যা  করছিলেন । এই সময়েই তাঁদের একবার সাক্ষাৎকার ঘটে । দুজনের মধ্যে কে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মতান্তর হওয়ায় লিঙ্গ দেহ ধারণ করে শিব তাঁদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর আদি ও অন্তের সন্ধান করতে বলেন । তাঁর লিঙ্গদেহের আদি উৎস ( নিম্ন ) সন্ধানে বিষ্ণুকে এবং অন্ত ( ঊর্ধ্ব ) ভাগ সন্ধানে ব্রহ্মাকে আদেশ করেন । এবং বলেন যে , যে সর্বপ্রথম তাঁর দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন তিনিই সবথেকে বড় । বিষ্ণু ও ব্রহ্মা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিবের আদি ও অন্তের সীমানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না । এমন সময় ব্রহ্মা শিবের লিঙ্গদেহের ঊর্ধ্ব দিকে যেতে যেতে লক্ষী-অংশে জাতা দক্ষদুহিতা কেতকী ( পুষ্প ) - কে পান এবং আর না উঠে ঐ ফুলটিকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে এসে জানান যে , তিনি শিবের মাথা থেকে এটিকে নিয়ে এসেছেন । কেতকী , ব্রহ্মার এই মিথ্যাকে সমর্থন করলে শিব রুষ্ট হন এবং কেতকীকে শাপ দেন যে , কোন পূজায় কেতকী ফুল ব্যবহৃতা হবেন না । দেবপূজায় না ব্যবহৃতা হলেও লোকপূ...

শ্রী কৃষ্ণের পায়ের তলাই কি ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য দুর্বল জায়গা ! - #অজিত মাহাত

ছবি
পায়ের তলায় তীরবিদ্ধ শ্রী কৃষ্ণ - Spiritual Ajit শ্রী কৃষ্ণের চরণে তীরবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের দ্বারা , শ্রী কৃষ্ণ ঋষি দুর্বাসার বাক্যকে সার্থক করলেন । একবার ঋষি দুর্বাসা শ্রী কৃষ্ণের সামনে উত্তপ্ত পায়েস খেতে খেতে কৃষ্ণকে সারা গায়ে সেই উচ্ছিষ্ট পায়েস মাখতে বলেন । কৃষ্ণ নিজের সারা গায়ে তা' মাখেন , কিন্তু ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ট বলে পায়ের তলায় মাখেন না । দুর্বাসা তখন রুক্মিণীর গায়ে পায়েস মাখিয়ে দিয়ে তাঁকে রথে জুড়ে নিয়ে নিজে সেই রথে চড়ে রুক্মিণীকে চাবুক মারতে থাকেন । রুক্মিণী ব্রাহ্মণের প্রতি অশেষ ভক্তির জোরে রথ টেনে চলেন । দুর্বাসা এই দম্পতির কোন দোষ খুঁজে পান না এবং তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হন । এই ঘটনাতে কৃষ্ণ ক্রোধ জয় করতে পেরেছিলেন বলে দুর্বাসা তাঁকে ক্রোধজিৎ বলে প্রশংসা করেন এবং বর দেন যে , তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সকলের প্রিয় হবেন । দুর্বাসার বরে সারা গায়ে পায়েস মাখার জন্য এঁদের দেহে কোনদিন জরা আসেনি এবং সারা গা অভেদ্য হয়ে থাকে ; কেবল পায়ের তলার বাদ থাকার জন্য পায়ের তলাতেই বাণবিদ্ধ হবার সম্ভাবনা থেকে যায় । শ্রী কৃষ্ণ নিজের সেই লাল টুকটুকে পা-দু'খানি জীরু ব্য...

কুন্তীর কারণে সমস্ত নারীকুলকে শাপ দিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির । - #অজিত মাহাত

ছবি
কুমারী কুন্তীর পুত্র লাভ - Spiritual Ajit কর্ণের মৃত্যুর পর , কুন্তী যুধিষ্ঠিরের কাছে কর্ণের জন্মপরিচয় স্বীকার করলেন । যুধিষ্ঠির বুঝতে পারলেন যে , এই বিরাট যুদ্ধ ও লোকক্ষয়ের মূলে মাতা কুন্তীর সত্যগোপনের ইচ্ছাই দায়ী । কারণ কর্ণ তাঁদের বড় ভাই , এ কথা জানলে তাঁরা সিংহাসনের জন্য এ যুদ্ধ করতেন না ; বরং কর্ণকেই রাজা করে তাঁর সেবা করতেন । বলা বাহুল্য , কর্ণকে রাজত্ব দিতে দুর্যোধনও অরাজী হতেন না । এই জন্য কর্ণের মৃত্যু শোকে , যুধিষ্ঠির সমস্ত নারীকুলকে এই অভিশাপ দেন যে , - ভবিষ্যতে নারীদের হৃদয়ে এইভাবে আর কোন কথা গোপন থাকবে না ; এমন কি অতি সাংঘাতিক গুপ্ত কথাও তাঁরা প্রকাশ করতে বাধ্য হবেন ।  এই জন্য যুধিষ্ঠিরের অভিশাপে , নারীগনের কাছ থেকে অতি গোপন কথাও কোন না কোনদিন প্রকাশ হয়েই থাকে ।  যুধিষ্ঠির - Spiritual Ajit